এলন মাস্ক শীর্ষ ধনীর অবস্থান হারালেন
নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরের জানুয়ারিতেও প্রতি শেয়ারের দর ৮৮০ ডলার ছিল টেসলার। এক সপ্তাহেই যা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এরপরই বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির অবস্থান হারালেন এলন মাস্ক। হঠাৎই টেসলার এমন পতনে প্রতিষ্ঠানটির বিটকয়েনে দেড় শ কোটি ডলারের বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এলন মাস্ক শীর্ষ ধনী ব্যক্তির অবস্থান হারানোর পর আবারো সে স্থান দখলে নিয়েছেন অ্যামাজান প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস।
এদিকে টানা ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে থাকার পর হঠাৎই কমছে বিটকয়েনের দামও। টেসলা বিটকয়েন কিনেছে এ খবর প্রকাশের পর বিটকয়েনের দাম অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু এরপর হঠাৎ ২০ শতাংশ কমে যায় এ ভার্চুয়াল কারেন্সির দর। বিটকয়েনে মাস্কের আগ্রহের কারণেই টেসলার শেয়ারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সম্প্রতি আবার তুলনামূলক কম দামি টেসলার ইলেক্ট্রিক গাড়ি ‘ওয়াই এসইউভি’র বিক্রি বন্ধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গাড়িটির গতি আরও বাড়াতে চান মাস্ক। সম্প্রতি এলন মাস্ক এক বার্তায় এটাও বলেন, টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য পর্যাপ্ত ব্যাটারি নেই। যদিও টেসলা নিজস্ব কারখানায় ব্যাটার তৈরি করে, কিন্তু ব্যাটারি তৈরির কার্যক্রম আরও বড় পরিসরে শুরু করতে চায় টেসলা। ব্যাটারি তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে সেমি ট্রাক্টর তৈরি করবে টেসলা।
জেনারেল মটরস আর ফোক্সওয়াগেনও বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি আর বিক্রিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে টেসলার শেয়ারের দর। জানুয়ারিতে টেসলার শেয়ারের দর ছিল ৮৮৩ ডলার। বর্তমানে যা ৬১৯ ডলার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিটকয়েন কেনার কারণে টেসলায় আস্থা হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে ইলেক্ট্রিক গাড়ি ‘ওয়াই এসইউভি’র বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে গাড়ির বাজারে।
এদিকে বাজারে বেড়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির প্রতিযোগিতা। জেনারেল মটরস, ফোর্ডসহ ইউরোপের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ি আনছে একের পর এক। সময়টিভি, টুডে নিউজ
অ্যাপলও অন্য গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিতে আসার চেষ্টা করছে বৈদ্যুতিক গাড়ি আই কার বাজারে আনার জন্য। এ কারণে টেসলায় বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও