বিশ্বজুড়ে বোয়িং ৭৭৭ মডেল গ্রাউন্ডেড নিরাপদ অবস্থানে বাংলাদেশ
সুমাইয়া ঐশী : বাংলাদেশ বিমানের এই মডেলের ৪টি উড়োজাহাজ থাকলেও একটিও সমস্যাযুক্ত ইঞ্জিন বা সিরিজের নয়। বাংলাদেশের কাছে বোয়িং-৭৭৭ মডেলের ৪টি উড়োজাহাজ আছে।
তবে এসবের উড্ডয়ন বন্ধ করার দরকার হবে না বলে মনে করছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। শুধুমাত্র বোয়িং-৭৭৭ মডেলের যেসব বিমান প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি ৪০০০ ইঞ্জিন দ্বারা চালিত সেসব বিমানের উড্ডয়ন বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশের উড়োজাহাজগুলোতে এই ইঞ্জিন নেই। এভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা এইচএইসিও এর সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আমিরুল ইসলাম বলেন, বোয়িং-৭৭৭ -২০০ সিরিজের বিমানগুলো গ্রাউন্ডেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশের কাছে এই মডেলের যে বিমানগুলো আছে তা ৩০০ সিরিজের।
তাই বোয়িং-৭৭৭ মডেলের বিমানগুলোকে নিয়ে বাংলাদেশের সমস্যা হবার কারণ নেই। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভারে মাঝ আকাশে বোয়িং-৭৭৭ মডেলের উড়োজাহাজের একটি ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এনিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত চলাকালে এই মডেলের প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি ৪০০০ ইঞ্জিন চালিত ৬৯টি এবং রিজার্ভে থাকা ৫৯টি উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড করার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন ও সুরক্ষা বোর্ড। সিএনএন
এই মডেলের বিমান বর্তমানে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। ইতোমধ্যে বোয়িং-৭৭৭ মডেলের ২৪ টি বিমান গ্রাউন্ডেড করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাপান এয়ারলাইন্স প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি ইঞ্জিনের যথাক্রমে ১৩টি ও ১৯টি বিমান গ্রাউন্ডেড করেছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, এখনও এই ধরনের পরিকল্পনা নেই তাদের। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে দেশটি। সম্পাদনা : আসিফুজ্জামান পৃথিল, রেজা