আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ২
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিনীত নিবেদন বাংলাদেশে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দিন
নাঈমুল ইসলাম খান
আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালন করছি। মোটামুটি একই সময়ে এসেছে বাংলাদেশের প্রাচীনতম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বার্ষিকী, সেনটেনিয়াল।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আপনারও বিশ^বিদ্যালয়। আপনারও আসছে জন্মের ৭৫তম বার্ষিকী, আপনার শুভ জন্মের হিরক জয়ন্তী। এসব কিছুর সাথে ঐতিহাসিকভাবে এসেছে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
বাংলাদেশও এখন নিশ্চিতই উন্নয়নশীল দেশ হতে চলেছে, এটি আমাদের জাতীয় গৌরব। এত কিছু মিলিয়ে এখন বাংলাদেশের সময়, আমাদের নতুন সময়।
গভীর আনন্দ এবং গৌরবের সাথে আপনি যখন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা লাভের যোগ্যতা অর্জনের ঘোষণা দিলেন তখনই আমার মনে একটা আকাক্সক্ষা উকি দিয়েছে। এত ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ সময় এক সাথে বাঙালির জীবনে এর আগে কখনও আসেনি।
বাংলাদেশের এই মাহেন্দ্রক্ষণকে আপনি এদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করেছেন। এর চেয়ে মহতী উৎসর্গ আর কিছু হয় না। কিন্তু এই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শ্রেষ্ঠদের জন্য উচ্চ-শিক্ষা ও গবেষণার যোগ্য বিশ^বিদ্যালয় বাংলাদেশে কোথায়?
বাংলাদেশে এখন ব্যাপক বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। অনেক অনেক মেগা প্রজেক্ট এবং এর প্রভাবে বাংলাদেশ মর্যাদা ও উন্নয়নের মহাসড়কে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। চারিদিকে উন্নয়নের উজ্জ্বলতা।
অদূর ভবিষ্যতে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে আমাদের যে বিজ্ঞানী উদ্ভাবক তৈরি করতে হবে তেমন মানসম্মত একটিও বিশ^বিদ্যালয় বাংলাদেশে নেই, এই বাস্তবতা আমাদের একটি অন্ধকার অংশ সামনে নিয়ে আসে। আমার সবিনয় নিবেদন, বাংলাদেশে নির্বাচিত আটটি পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের জন্য একটি ১০ বছর মেয়াদি মেগা প্রজেক্টের আওতায় কর্মউদ্যোগ শুরু করুন। এগুলোকে বিশ্বমানের সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে পরিণত করুন। প্লিজ।
এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য বিশ্বর বিভিন্ন দেশ থেকে যোগ্য শিক্ষক আনতে হবে। গবেষণার জন্য বিপুল বিনিয়োগ করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় করতে যা যা দরকার, করতে হবে। তা না করলে সোনার দেশ তৈরি করতে সোনার মানুষ পাবো কোথায়?
নির্বাচিত আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান বাজেটের সাথে অতিরিক্ত অর্থবরাদ্দের মাধ্যমে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ম্যাজিক্যাল রূপান্তর ৫ বছরের মধ্যেই সম্ভব।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই উদ্যোগে অকৃপণ বরাদ্দ দিন, আপনি এইটুকু নিশ্চয়ই করবেন! তারপর দেখবেন কী চমৎকার হয়।