বাংলাদেশের জন্য স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উত্তরণ বলতে কী বোঝায়?
মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে
গত ২ মার্চ জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বিষয়ক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ বিভাগ বলেছে, ‘উন্নয়ন নীতিমালা কমিটির (সিডিপি) ২৩তম পূর্ণ অধিবেশনটি ২০২১ সালের ২২-২৬ ফেব্রæয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সিডিপি স্বল্প উন্নত দেশের (এলডিসি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা শেষে বাংলাদেশ, গণপ্রজাতন্ত্রী লাও এবং নেপালকে এলডিসিভুক্ত দেশ থেকে উত্তরণের সুপারিশ করেছে। ওই সুপারিশের পরবর্তী ধাপটি অথনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল (ইওসিএসওসি) অনুমোদন করবে, যাতে সাধারণ অধিবেশনে জানানো হয়। পাশাপাশি সিডিপি স্বল্প উন্নত দেশে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে জাতিসংঘের এলডিসিভুক্ত দেশের পঞ্চম সম্মেলন এলডিসি৫ আয়োজনের ক্ষেত্রে তার প্রভাবটি নিয়ে আলোচনা করেছে। এছাড়া পূর্ণ অধিবেশনের সমাপনীতে এলডিসি সম্পর্কিত ইস্যুর উপর গুরুত্বারোপ শেষে সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলোকে তা অবহিত করেছে।’
কিন্তু এই স্বল্প উন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? বাস্তবে এই উত্তরণের পটভূমিতে তিনটি প্রধান অনুষঙ্গ জড়িত। প্রথমত, আয়ভিত্তিক নিয়মে মাথাপিছু জিএনআই বা মোট জাতীয় আয় দ্বিগুণের কাছাকাছি হওয়া, ভিন্নভাবে যা উত্তরণের ক্ষেত্রে যে কোনো দুটি মানদন্ডকে অতিক্রম করেছে। দ্বিতীয়ত, মানদন্ডের আলোকে দেশটি আবশ্যিকভাবে পর্যায়ক্রমিক দুটি পর্যালোচনা পরিপূরণ করেছে। তৃতীয়ত, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা ঘটেনি অর্থাৎ তাতে অতিরিক্ত তথ্যাদি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও