কাঠপণ্য রপ্তানিতে লাফিয়ে প্রবৃদ্ধি ভিয়েতনামের
মুসা আহমেদ: করোনার মধ্যেও কাঠপণ্য রপ্তানিতে জয়জয়কার ভিয়েতনামের। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে দেশটির কাঠ ও কাঠজাতীয় পণ্য রপ্তানি হয় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। যা গেলো বছরের এমন সময়ের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা জিএসও। সিনহুয়া
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের কেবল ফেব্রæয়ারিতে কাঠ ও কাঠজাতীয় পণ্য রপ্তানি করে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে ভিয়েতনাম।
বার্ষিকভিত্তিতে যা ৪২ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। এদিকে গেলো বছরজুড়ে এ পণ্য রপ্তানি করে ১২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করে ভিয়েতনাম। যা তার আগের বছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। গেলো বছরে কাঠপণ্য রপ্তানি থেকে আয় দাঁড়িয়েছে দেশটির মোট রপ্তানি আয়ের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
জিএসও জানিয়েছে, দেশটির কাঠপণ্য রপ্তানির আন্তর্জাতিক বাজার হচ্ছে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। করোনাকালেও কাঠজাতীয় পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে ভিয়েতনাম। এদিকে বিগত কয়েক বছরে এ জাতীয় পণ্যের রপ্তানিতে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটি।
দেশটির সরকারি তথ্যমতে, জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারি- এই দুই মাসে কাঠ ও কাঠজাতীয় পণ্য আমদানিতে ৪৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে ভিয়েতনাম। বার্ষিকভিত্তিতে যা ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এদিকে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে কাঠের চাহিদা রয়েছে বেশ। যে কারণে বিদেশ থেকে এ ধরনের পণ্য আমদানিও করতে হচ্ছে দেশটির।
করোনা প্রাদুর্ভাবের আগের বছরে কাঠ ও কাঠজাতীয়পণ্য রপ্তানি করে ১০ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি আয় করে ভিয়েতনাম। যা তার আগের বছর থেকে ১৮ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। সেসময়ে চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র ছিলো দেশটির এ রপ্তানিপণ্যের বড় বাজার।স¤প্রতি লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়লেও বর্তমানে ভিয়েতনামে প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে করোনাভাইরাস। বিশ্ব করোনা জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেয়া তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ২ হাজার ৫২৬ জন। এদের মধ্য থেকে মারা গেছে ৩৫ জন। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২ হাজার ৪ জন।