মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিবৃতি নির্ভর হয়ে পড়েছে জাতিসংঘ
তরিকুল ইসলাম : বৈশি^ক এ সংস্থাটি রেজুলেশনে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা ইস্যুতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানোর মধ্যেই কেবল সীমাবদ্ধ। সর্বশেষ মঙ্গলবার মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিতে আবারও ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সংঘাতপূর্ণ আচরণ থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তৈরি করা রেজুলেশনের বিরোধিতা করেছিলো চীন, রাশিয়া, ভারত ও ভিয়েতনাম।
নিরাপত্তা পরিষদ গত ফেব্রুয়ারিতেও একটি রেজুলেশন এনে বিবৃতিতে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ঘোষিত জরুরি অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ ও আটককৃতদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তখন চীন-রাশিয়ার বিরোধিতায় বিবৃতিটিতে দেশটির সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাতে পারেনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
এ নিয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র স্বতন্ত্র ও সম্মিলিতভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা সবসময় সম্মিলিতভাবে নিরাপত্তা পরিষদ থেকে দৃঢ় ও কঠোর ব্যবস্থা আশা করছি। যদিও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদকে মিয়ানমারের ওপর আর্ন্তজাতিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক আরোপের আহ্বান জানিয়েছে একাধিকবার।
এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই জারি হওয়ার সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে কূটনীতিকরা বলছেন, কারণ যেকোনো সময়েই চীন ও রাশিয়া এর বিরোধিতা করবে।
‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক আরেকটি প্রস্তাব ১৮ নভেম্বর বিপুল ভোটে গৃহীত হয়। রোহিঙ্গা সংকটের জরুরি সমাধানের লক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটির চতুর্থবারের মতো গৃহীত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৩২ দেশ, বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৯ দেশ। আর ভোট দানে বিরত থাকে ৩১ দেশ। সে সময়ও রেজুলেশনের চীন-রাশিয়া বিরোধিতা করলেও সে সময় নিরব ছিলো প্রতিবেশী দেশ ভারত।
ওআইসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলো ১০৪ দেশ। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় মিয়ানমার, বেলারুশ, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, জিম্বাবুয়ে, লাওস, জাপান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভেনেজুয়েলা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে নেপাল ও শ্রীলংকা।
অবশ্য জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের এই রেজুলেশন আন্তর্জাতিক রীতিনীতির গুরুত্বপূর্ণ এক উৎস হিসেবে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। তিনি বলেন, রেজুলেশনে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দীর্ঘকাল ধরে চলমান সংকট মোকাবেলায় অবদান এবং মিয়ানমারকে চ্যালেঞ্জসমূহ কাটিয়ে উঠতে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ ঘটাতে সাহায্য করবে।
ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গত চার বছরে মোট ছয় দফায় আট লাখ ৩০ হাজার এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ৭