‘করোনায় আন্তর্জাতিক মহল ঠিক থাকলে আমরা বিপদে পড়বো না’
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ‘করোনায় আন্তর্জাতিক মহল বিপদে না পড়লে আমরা বিপদে পড়বো না’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ব অর্থনীতির আঙ্গিনায় একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফলে আমাদের ক্রেতারা কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমাদেরও কষ্ট হবে। আমাদের দুইটা সোর্স, একটা অভ্যন্তরীণ বাজার, আরেকটা আন্তর্জাতিক বাজার। আমাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে উৎপাদন ঠিক আছে, সেগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে করোনার প্রভাব যদি লম্বা সময় ধরে থাকে তাহলে সমস্যা।
করোনার দ্বিতীয় ওয়েব শুরু হয়েছে, এতে আগামীতে অর্থনীতিতে কোন ঝুঁকি দেখছেন কি নাÑ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকি, তাহলে আশা করি সবকিছু নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং কোন ধরনের সমস্যায় পড়বো বলে মনে করি না।
করোনার প্রথম দফায় অভ্যন্তরীণ খাতের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে প্রণোদনা ঋণ দেয়া হয়েছে। করোনার সেকেন্ড ওয়েবেও প্রণোদনা ঋণ দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে, কী পরিমাণ ক্ষতি হবে- সেটার ওপর তা নির্ভর করবে।
জিডিপি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক প্রজেকশন করার ক্ষেত্রে তারা যে সকল এজামশন নিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করে সেগুলো অনেক সময় স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের সঙ্গে মিল থাকে না, সেজন্য তফাৎ থাকে। তাদের নিয়ম হচ্ছে, তারা শুধু দেখবে আমাদের মেথলজি সঠিক কি না। আমরা যে ম্যাথডে জিডিপি কম্পিউট করি, সেই ম্যাথডটা ঠিক আছে কি না। যে সকল প্যারামিটারগুলো রয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে সল্ভ করি কি না, সেগুলো দেখলেই তারা সেটিসফাইড।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে আমরা যা হিসাবে আনি, তারা সেটাকে দেখে চূড়ান্তভাবে বিবেচনা করে। আমি মনে করি তাদের এবং আমাদের যে তফাৎ, সেটা সাময়িক।
চূড়ান্তভাবে আমাদের অর্থবছর যখন শেষ হবে, তখন আমরা যেটা হিসাবে আনবো, যেটা আমরা পাবো হিসাবে, সেটা তারাও মেনে নেবে। সময় সময় তারা মেনে নেয়। এই মূহুর্তে আমরা হিসাব চূড়ান্ত করিনি। আমরা প্রজেকশন করি না, চূড়ান্ত করার পর ফিগারটা দেই। তারা মাসে বা বিভিন্ন সময় প্রজেকশন করে, আমরা সেটা করি না।