৯ মাসে এসেছে ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার মানুষের আস্থা ফিরে আসায় রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে : অর্থমন্ত্রী
মো. আখতারুজ্জামান : করোনায় দেশের বৈদেশিক আয় প্রতিনিয়ত নতুন মাত্রা যোগ করে চলছে। গত বছর করোনার শুরু থেকেই প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক আয় বড়তে থাকে। এ বছর শুধু মার্চ মাসে ১৯১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। গত বছরের মার্চে ছিল ১২৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। আর চলতি অর্থ বছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত এই ৯ মাসে ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। যা গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেকর্ড ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শনিবার রাতে অর্থমন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আ হ ম মোস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রীর বলেন, প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের প্রবাসী আয় পাঠানোর নিয়ামকানুন সহজ করে দেওয়াসহ সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সংস্কারমুখী পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। আমাদের এ অর্জন দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের প্রত্যাশা এটি আরও বাড়বে। এ বিষয়ে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। কাউকে হয়রানি করা হয় না। সময়মত রেমিটেন্সের নগদ প্রণোদনা উপকারভোগীর হাতে সহজেই পৌঁছে যায়। ফলে দিন দিন বেড়েই চলেছে বৈদেশিক আয়ের পরিমাণ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ১৭৮ কোটি ৫ লাখ ডলার ও জানুয়ারি মাসে ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ এই ৯ মাসে রেমিটেন্স গত পুরো অর্থবছরের রেকর্ডকে অতিক্রম করেছে। চলতি অর্থ বছরের জুলাই থেকে মার্চ এই ৯ মাসের রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৩৫.১০ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিটেন্স প্রথমবারের মতো ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। ঐ মাসে প্রবাসীরা রেকর্ড ২৬০ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন, যা এখন পর্যন্ত এক মাসে রেমিটেন্সের রেকর্ড। এরপর আগস্ট মাসে রেমিটেন্স কিছুটা কমে, পরিমাণ ১৯৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে তা আবার বেড়ে ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলারে উন্নীত হয়। এরপর গত অক্টোবরে ২১১ কোটি ২০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২০৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার ও ডিসেম্বরে ২০৫ কোটি ৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। সবশেষ মার্চে মাসের প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক রেমিটেন্স আসে ১৯১ কোটি ৬৬ লাখ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটির বেশি প্রবাসী রয়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স জিডিপিতে অবদান রেখেছে ১২ শতাংশের বেশি। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোর শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে প্রথমে রয়েছে সৌদি আরব। এর পর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তৃতীয় অবস্থানের রয়েছে আরব আমিরাত। এর পর যথাক্রমে মালয়েশিয়া, ওমান, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, কাতার, সিঙ্গাপুর ও ইতালি।