আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ২
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপেষু বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকদের জন্য ভর্তুকী
নাঈমুল ইসলাম খান
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি গত ৫ এপ্রিল ‘লকডাউন’ চলাকালীন বইমেলায় যাওয়ার অনুমোদিত সময়ে তিন কন্যাসহ সপরিবারে গিয়েছিলাম।
এবছর বইমেলা করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে, ফেব্রুয়ারি মাসে হতে পারেনি। মার্চ মাসে যখন শুরু হলো তখনও করোনা ভয়াবহতার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বইমেলায় বেচাকেনা একেবারেই হয়নি।
মেলায় ঘুরে ঘুরে প্রকাশক এবং স্টলের কর্মীদের সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান তাদের স্টল নির্মাণ এবং কর্মীদের বেতন ভাতার টাকা মেলার বিক্রি দিয়ে উঠাতে পারবে না। লাভতো বহুদূর।
বাংলাদেশে প্রকাশকদের একটি বড় অংশ মূলত ফেব্রুয়ারির, বইমেলা দিয়েই তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়। বছরের অন্যান্য সময়ে বিক্রি এমনকি সুদিনেও তেমন উল্লেখযোগ্য হয় না।
বিগত একবছর দেশে করোনাকাল, তার উপর এবছর মার্চে বইমেলা হলো চরম লোকশানের। এতো বড় বিপর্যয় অনেক প্রকাশকই সামাল দিতে সক্ষম নন। অনলাইনে বই বিক্রিও উল্লেখযোগ্য নয়।
উপরোক্ত পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রকাশকদের জন্য কিছু ভর্তুকী সহায়তা দান করলে অনেকগুলো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবে।
আমাদের মতো রাষ্ট্রে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি এমনকি সাংবাদিকতাও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া বিকশিত হতে পারে না। পারবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি শিল্প সাহিত্যের অনুরাগী এবং বিশেষ করে বইমেলায় আপনার বিশেষ উৎসাহের কথা আমরা জানি।
আমি এজন্যই সবিনয়ে আপনার কাছে অনুরোধ করছি ক্ষতিগ্রস্ত প্রকাশকদের কিছু নগদ টাকা দান করার ব্যবস্থা করবেন।
অনুলেখক: ফাহমিদা তিশা
রচনার তারিখ: ৬ এপ্রিল ২০২১