করোনা রুখতে বিশ^ব্যাংকের কাছে ৫০ কোটি ডলার চায় বাংলাদেশ
সোহেল রহমান : করোনার প্রভাব মোকাবেলায় আগামী বাজেটে বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এছাড়া পরিবেশগত উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত ‘ইকোলজিক্যাল রি-স্টোরেশন সাপোর্ট টু রির্ভাস অ্যান্ড ক্যানেল্স এরাউন্ড ঢাকা’ প্রকল্পে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন; পরিবহন; নদী কেন্দ্রিক পর্যটনের উন্নয়নে টেকসই পরিবেশ-বান্ধব অবকাঠামো তৈরি এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ আরো বেশী বাড়াতে ছাত্রীদের জন্য প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-এর চলমান ‘বসন্তকালীন সভা ২০২১’-এর অংশ হিসেবে সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী এসব অনুরোধ জানান। সভায় অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংস্থার দক্ষিণ-এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন আলোচনায় অংশ নেন। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সিনিয়র অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ-এর সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের প্রস্তাবগুলো ইতিবাচকভাবে দেখা হবে সভায় অভিমত ব্যক্ত করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কম-বেশি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির ভয়াবহতা প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই অনুধাবন করতে পেরে দেশের সব ধরনের অর্থনৈতিক স্তরের মানুষের জন্য একের পর এক এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকার মোট ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার ব্যবস্থা করেছেন, যা একটি সাহসী পদক্ষেপ। বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরুর বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন।
চলমান করোনা মহামারীজনিত কারণে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার, আর্থিক ও সামাজিক খাত সচল রাখবার লক্ষ্যে বর্তমানে চলমান বিশ্বব্যাংকের ‘প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ প্রকল্পের আওতায় সাপোর্ট এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য ৫০ কোটি ডলার অর্থায়নের জন্যও বিশ্বব্যাংকের প্রতি ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী।