আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ৫
তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
সোহেল রহমান : তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল-এ যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনে সংশ্লিষ্ট অংশের ক্রয় কাজের জন্য একটি প্রস্তাব অতি সম্প্রতি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে ‘অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’।
এ বিষয়ে বৈঠকে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জনস্বার্থে ‘এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৬’ কনসোর্টিয়ামের নিজস্ব ক্রয় প্রক্রিয়া অনুযায়ী সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হবে।
এতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন ‘বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড’-এর উদ্যোগে এ সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হবে।
প্রসঙ্গত: দেশে বিদ্যমান দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের পূর্বমুখী পূর্ণ ক্ষমতা ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
এমতাবস্থায় দেশকে তৃতীয় একটি সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত করা না হলে দেশে সাবমেরিন ক্যাবলের পূর্বমুখী (সিঙ্গাপুরমুখী) ব্যান্ডউইথের সংকটের কারণে দেশে ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জানা যায়, প্রকল্পের মূল কাজ হচ্ছে, এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৬ কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে নতুন একটি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন। অন্যান্য কনসোর্টিয়াম ক্যাবলের মত এসএমডব্লিউ-৬ সাবমেরিন ক্যাবলে প্রধানত: দু’টি অংশ রয়েছে। এর একটি হচ্ছেÑ ‘কোর অংশ’ এবং অপরটি হচ্ছেÑ ‘ব্রাঞ্চ অংশ’। ‘কোর অংশ’টি হবে সিঙ্গাপুর থেকে জিবুতি, মিশর হয়ে ফ্রান্স পর্যন্ত বিস্তৃত মূল ক্যাবল। অন্যদিকে ‘ব্রাঞ্চ অংশ’ (বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ) হবে কক্সবাজারের সঙ্গে মূল কোর ক্যাবলের সংযোগ স্থল (ব্রাঞ্চিং ইউনিট) পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৮৫০ কিলোমিটার।
জানা যায়, অনুমোদিত ডিপিপি-তে ক্রয় পরিকল্পনায় পণ্য সংগ্রহের জন্য চারটি ও পূর্ত কাজের জন্য দুটি প্যাকেজ রয়েছে।
পণ্য সংগ্রহের একটি প্যাকেজ ‘সাবমেরিন ক্যাবল ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম’ ক্রয় প্রক্রিয়াটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে এসডব্লিউ-৬ ক্যাবলটি স্থাপনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়ায় প্রকল্পের সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন অংশের ক্রয় প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে কনসোর্টিয়ামের নিজস্ব ক্রয় পদ্ধতিতেই হবে। সে অনুযায়ী এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৬ সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে কনসোর্টিয়ামের সব সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করে দরপত্র আহবান করা হয়।
দরপত্রে চারটি কোম্পানি অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে কনসোর্টিয়াম কর্তৃক নির্ধারিত ক্রয় প্রক্রিয়া অনুযায়ী আর্থিক ও কারিগরী দিক যাচাই-বাছাই করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ-পূর্বক কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে নির্বাচিত ঠিকাদারের চুক্তি সই হবে এবং কনসোর্টিয়ামের সদস্যদের মধ্যে কন্সট্রাকশন ও মেইনটেইন্যান্স চুক্তি সই করা হবে।