তিস্তা চুক্তিতে ব্যর্থতা বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বে ফাটল ধরাতে পারে
আসিফুজ্জামান পৃথিল : সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ হাই প্রোফাইল সফরে অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হলেও তিস্তার বানি বণ্টন সমস্যার সমাধান হয়নি। এই নদীটি হয়ে গেছে ভারত ও বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক ইস্যু।
তিস্তা-কাঙসে হিমবাহ থেকে উৎপন্ন নদীটি ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ১৯৪৭ সাল থেকেই এটি পারস্পরিক উত্তেজনার খোরাক যোগাচ্ছে। সেসময় নদীটির খর¯্রােতা অংশটি ভারত পেয়েছিলো। ১৯৭২ সালে যৌথ নদী কমিশন গঠনের পর থেকেই চুক্তির চেষ্টা চলে। ১৯৮৩ সালে দু দেশ একটি সমঝোতায় পৌঁছায়। ভারত পাবে তিস্তার ৩৯ শতাংশ পানি আর বাংলাদেশ পাবে ৩৬ শতাংশ। বাকি পানি বরাদ্দ অববাহিকার জন্য।
২০১১ সালে ভারত নদীটির ৩৭.৫ শতাংশ পানি বাংলাদেশকে দিতে রাজি হয়। শুস্ক মৌসুমে তা হবে ৪২.৫ শতাংশ। কিন্তু এটি চুক্তিতে পরিণত করা যায়নি। এরমধ্যেই সিকিম রাজ্যে নদীটির উজানে চলছে একের পর এক বাধ নির্মানের কাজ।
ভারতের সহায়তা না পেয়ে একটি চীনা প্রস্তাব বিবেচনা করতে শুরু করে ঢাকা। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী নদীটির অববাহিকার প্রস্থ কমিয়ে গভীরতা বাড়িয়ে একটি একক চ্যানেল তৈরি করা হবে। তবে চিকেনস নেকের এতো কাছে চীনা ইঞ্জিনিয়ারদের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলে ভারত। তবে বাংলাদেশের মানুষ চান, এই প্রকল্পটি যেনো অব্যাহত থাকে।
চিকেনস নেক বা শিলিগুড়ি করিডোর ভারতের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ। এটির নিরাপত্তার সঙ্গে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বার্থের যোগ আছে। বাংলাদেশ যদি ভারতের সহায়তা না পায়, তবে অবশ্যই একদিন তা ভারতের স্বার্থের জন্য বড় আঘাত হয়ে আসতে পারে। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও