রাজধানীতে বিক্রি হচ্ছে নানা রঙের মাস্ক
শাহীন খন্দকার : এসব মাস্ক আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত কী না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সাধারণ মানুষের। করোনা মহামারীতে ঢাকার ফুটপাত থেকে ওষুধের দোকানেই সীমাবদ্ধ নয় অনলাইনে লকডাউনে মাস্ক বেচা-কেনার হিড়িক পড়েছে। ফার্মেসিসহ বিভিন্ন শপিংমলে, পাড়া মহল্লার দোকান ও হাসপাতালের সামনে ফুটপাতে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে নানা রঙের সূতি কাপড়ের এবং সার্জিক্যালসহ নাইনটি নাইন মাস্ক নামে।
এসব মাস্ক স্বাস্থ্যসম্মত কি না তার সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি বিক্রেতাদেরও কাছে থেকে। যত্রতত্র মাস্ক বিক্রি ও মান-সম্মত না হওয়ায় রয়েছে সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানহীন মাস্কের ব্যবহার বন্ধ করতে না পারলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না। বরং স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়বে মান-সম্মত মাস্কের বাজার।
এদিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার বাবুবাজার সেতুর নিচেসহ চকবাজার, গুলিস্তান হকার মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে রমরমা পাইকারি মাস্কের বাজার। এসব বাজারে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। কিন্তু রয়েছে স্বাস্থ্যপণ্যের সমারোহ। দেশীয় সূতি ও গেঞ্জি কাপড় ছাড়াও চীন থেকে আসা মাস্ক হাঁকডাক করে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা জানালেন, বিক্রির চাপ অনেক। বেশ কয়েকদিনের জমে থাকা পণ্য কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে শেষ হয়ে গেছে।
যে কোন বয়সের আর সাইজের মাস্ক এখানে বিক্রি হচ্ছে মানভেদে দুই টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে। ব্যবসায়ী শুকুর মাহমুদ জানালেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে তিনস্তরের সূতি কাপড়ের মাস্ক তৈরি করছেন তিনি। যার বাজার মূল্য পাইকারী ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি করছেন। তবে ফ্যাশনাবল হলে এবং কাপড়টা উন্নত এবং দামি হলে সেক্ষেত্রে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
ওষুধের দোকানগুলোতে তুলনামূলক মানসম্মত পণ্যের দেখা বেশি মিলে। বিক্রেতারা জানালেন, সংক্রমণ ঠেকাতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা। তবে, যত্রতত্র বিক্রি হওয়া মানহীন মাস্ক স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। তাদের মতে, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ব্যবসার কিও বাড়াচ্ছে এ সব নিয়ন্ত্রণহীন মাস্ক। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে মানসম্মত মাস্ক বাজারজাত করার পক্ষে মতামত দেন মাস্ক ব্যাবসায়ীরা। সেই সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টকতৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান ব্যবসায়ীরা। সম্পাদনা : রাশিদ, ভিক্টর রোজারিও