টেকনাফ স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি
ফরহাদ আমিন : টেকনাফ কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে গত মার্চ মাসে ১৪ কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার ২১৬ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ কোটি ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৪ টাকার রাজস্ব কম অর্জিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজস্ব আদায়ের এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, ২০২০-২১অর্থ বছরের গত মার্চ মাসে ৩৫৯টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ১৪ কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার ২১৬ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
গত মার্চ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। যা মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ কোটি ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৪ টাকার রাজস্ব অর্জিত হয়নি। এতে মিয়ানমারের পণ্য আমদানি হয়েছে ৪৯ কোটি ২১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭৪ টাকার। এছাড়া গত মাসে শাহ পরীর দ্বীপ করিডোরে ৭ হাজার ৮৪৫টি গরু, ১ হাজার ৩০২টি মহিষ আমদানি করে ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। অপরদিকে মিয়ানমারে রফতানি হয়েছে ৬৮টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৩ হাজার টাকার দেশি পণ্য। তিনি আরো বলেন, গত মার্চ মাসে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি কম হওয়ায় টার্গেটের চেয়ে কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, দেশের চাহিদা মেটাতে স্থলবন্দর দিয়ে শুধু খাদ্যপণ্য আমদানি হচ্ছে। হিমায়িত মাছের পাশাপাশি রমজান উপলক্ষে মিয়ানমার থেকে ছোলা, পিয়াজ, রসুন, আদা ও আছার আমদানি অব্যাহত রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও