আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ২
রমজান উপলক্ষে রাজধানীর ১০০ স্পটে টিসিবির ট্রাক
নিজস্ব প্রতিবেদক : রমজান উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ট্রেডিং কর্পোররেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি ট্রাকে করে টিসিবির ছয়টি পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। দীর্ঘলাইন দিয়ে টিসিবি‘র এসব পণ্য কিনছেন নি¤œ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চৈত্রের তীব্র রোদে দাঁড়িয়ে টিসিবির পণ্য কিনছেন তারা। শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব, সেগুনবাগিচা ও মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে এসব চিত্র পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, টিসিবির ট্রাকে সয়াবিন তেল, চিনি, মশুর ডাল, ছোলা ও খেজুর দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, চিনি, ছোলা ও মশুর ডাল ৫৫ টাকা কেজি এবং খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫ লিটার তেল, চার কেজি করে চিনি, ছোলা ও মশুরের ডাল কিনতে পারছেন। এছাড়াও প্রতিজন খেজুর নিতে পারছেন ১/২ কেজি। এদিকে রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ বটতলার অপেক্ষামান টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনছেন কামরুল ইসলাম নামে একজন ক্রেতা। তিনি বলেন, বেলা ১১টা থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, এখন দুপুর ১২টা। লাইনেই অপেক্ষা করছি। হয়তো আরও ১৫/২০ মিনিট লাগবে পণ্য কিনতে।
এতক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেসরকারি চাকরি করছি। গত বছর করোনার সময় ৩০ শতাংশ বেতন কমানো হয়েছে। সেটা আর বাড়েনি। বরং বর্তমানে করোনা বেড়ে যাওয়ায় চাকরি হারানোর আতঙ্কে রয়েছি। এ অবস্থায় এক ঘণ্টা দাঁড়ানোর পরেও যদি টিসিবির পণ্য কিনতে পারি তাহলে কয়েকশ টাকা সাশ্রয় হবে। একই কথা বলছেন, সুমি আক্তার। তিনি বলেন, বাজারে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪০ টাকা। টিসিবিতে ১০০ টাকা। ৫ লিটার তেল টিসিবি থেকে কিনলে সাশ্রয় ২০০ টাকা। এছাড়াও ছোলা, মশুর ডাল ও চিনি বাজার থেকে গড়ে ২০ থেকে ৪০ টাকা কম পাওয়া যাচ্ছে। তাই কষ্ট হলেও এখান থেকে পণ্য কিনছি। এ ব্যাপারে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। প্রতিদিন রাজধানীর ১০০টি স্পটে ১০০টি ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ট্রাকে ১২০০ লিটার তেল, ৭০০ কেজি চিনি, ৫০০ কেজি মশুর ডাল, ১০০ কেজি ছোলা ৬০০ কেজি, পেঁয়াজ ৫০০ কেজি এবং খেজুর ১০০ কেজি বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, প্রয়োজনে এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।