১১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা ব্যয়ের দশ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
সোহেল রহমান : দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনসহ ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে ‘জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি’ (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৯০১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৮ হাজার ৯৯১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ২ হাজার ৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ৮০৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ নেন তিনি।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এক ভার্চুয়াল ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে (১ম পর্যায়) একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা।
তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপনে একটি প্রকল্প ইতিপূর্বে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। বৈঠকে এর একটি প্রথম সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মূল প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনীতে ১৯৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৬১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। বর্তমানে এই মেডিকেলটি স্পেশাল আছে। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এটি সুপার স্পেশালাইজড হবে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
একেনেক-এ অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলোগুলো হচ্ছেÑ ৯১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়েসাইনবোর্ড-মোড়েলগঞ্জ-রায়েন্দা-শরণখোলা-বগী সড়কের (আর-৭৭৩) ১৭তম কিলোমিটারে পানগুচি নদীর উপর পানগুচি সেতু নির্মাণ প্রকল্প; ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্প (২য় পর্যায়); ৫২৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প; ৩৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রাঙ্গামাটি জেলার কারিগরি পাড়া হতে বিলাইছড়ি পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন ও ব্রিজ/কালভার্ট নিমাণ প্রকল্প; ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও চাঁদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; ১ হাজার ১৫৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প; ১ হাজার ৪৫২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং ৩ হাজার ৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাপাবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন প্রকল্প। সম্পাদনা : রেজা