নারী প্রতিনিধিত্বে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্নে জাপান
লিহান লিমা : জাপানে আগাম নির্বাচনে ভোট গ্রহণ বিশ্ব গণমাধ্যমের কাছে আকর্ষণীয় ও প্রতিযোগিতামূলক নয়। বরাবরের মতোই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের ক্ষমতায় থাকার সম্ভাবনাই বেশি। আর রাজনীতিতে নারী প্রতিনিধিত্বের দিক দিয়ে সর্বনিম্ন স্থানে অবস্থান করা জাপানের এই পরিস্থিতি অক্টোবরের নির্বাচন পাল্টাতে পারবে না। জাপানের সংসদের নিম্নকক্ষে নারী প্রতিনিধিদের সংখ্যা মাত্র ৯ ভাগ। বিশ্বের ১৯৩টি দেশের মধ্যে নারী প্রতিনিধিত্বের সংখ্যায় জাপানের অবস্থান ১৬৫তম, যা বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।
এই বছর টোকিওর প্রথম নারী গভর্নর ইউরিকো কোয়েকি শিনজো অ্যাবের বিরুদ্ধে নতুন দল ঘোষণা করে আলোচনায় আসেন। এই ঘটনায় অনেকেই মনে করেছিলেন জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারেন কোয়েকি। কিন্তু নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে কোয়েকি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেন, পরবর্তী সময়ে মত পাল্টালেও নিজের সমর্থনে জোরালো প্রচারণা দাঁড় করাননি তিনি। এমনকি তার নিজ দলেও ৫ ভাগের মধ্যে মাত্র একভাগ নারী প্রার্থী।
জাপানের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাধা অনেক। দেশটির জনগণ রাজনীতিতে পুরুষ প্রার্থীদের প্রতিযোগিতা দেখতেই অভ্যস্ত। গণমাধ্যমে নারী প্রার্থীদের রাজনৈতিক জীবন ও কর্মের চেয়ে ব্যক্তিগত বিষয়ের প্রতি নজর দেওয়া হয় বেশি। রোববারের এই নির্বাচনে জাপানের গণমাধ্যমগুলোতে নারী প্রার্থীদের কিংবা তাদের জীবনসঙ্গীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক টেনে আনা হয়েছে। জাপানের ওয়াসদা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ম্যাকাও নাকাবেসাই বলেন, ‘জাপানের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ জোরদার করা সহজ নয়।’
এছাড়া জাপানে বর্তমানে যেসব নারী প্রতিনিধিত্ব করছেন এদের মধ্যে বেশিরভাগই তাদের স্বামীর সূত্র ধরে রাজনীতি করছেন। অ্যাবে তার নির্বাচনি প্রচারণায় শিশুদের প্রতি যতœ ও শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করলেও রাজনীতিতে নারী প্রার্থীদের বিষয়ে তাকে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি। সূত্র : দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ