‘কূটনীতিতে নীতি নাই’
তোফাজ্জল হোসেন : ক’টনীতিতে নীতি নাই। সবই অর্থনৈতিক হিসাব। চীন, রাশিয়া, ভারতের বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে মিয়ানমারে। তিনটি দেশ বাংলাদেশের বন্ধু হলেও তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে কৌশল অবলম্বন করছে। তবে সমস্যা সমাধানে বৈশ্বিকভাবে অন্য দেশগুলোকে সম্পৃক্ত করতে হবে। মিয়ানমারের প্রকৃতিক সম্পদ কে বেশি নিতে পারবে তার একটি প্রতিযোগিতা চলছে এশিয়ার পরাশক্তিগুলোর মধ্যে। শনিবার রাতে চ্যানেল আইয়ের টকশো তৃতীয় মাত্রায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন। জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ খান।
আহমেদ হোসেন বলেন, মিয়ানমার এখন ১৯৯২ সালের চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চায়। কিন্তু সে অনুযায়ী মাত্র ১৪ হাজারকে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব। তাই আমি বলব বিএনপি তৎকালিন সময়ে কূটনৈতিক ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। অন্যদিকে সরকার মিয়ানমারের দেয়া যুদ্ধ উস্কানি সর্তকভাবে মোকাবেলা করে বিশ্ব জনমত পক্ষে নিয়েছে। সরকার চেষ্টা করছে একটি দীর্ঘ স্থায়ী সমাধানের। বড় অর্জন একটু দেরিতে আসে। তাই সেটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
নূর মোহাম্মদ খান বলেন, তবে যত সময় দরকার হোক না কেন রোহিঙ্গা ইস্যুটি স্থায়ী ভাবে সমাধান করতে হবে। এ জন্য বন্ধু প্রতিম দেশগুলোর সাহায্য না পাওয়া সরকারের ক’টনৈতিক সাফল্য হতে পারে না। ভারত বর্তমানে তাদের দেশে আর প্রবেশ করতে দিচ্ছে না রোহিঙ্গাদের। যারা আছে তাদেরকেও বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এটি ভারত থেকে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে অসহযোগিতার ইঙ্গিত। এটি সমাধানে সরকারকে জোর কার্যক্রম চালাতে হবে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু