মুগাবের নিয়োগ ‘পুনর্বিবেচনা’ করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
আনিস রহমান : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শুভেচ্ছা দূত হিসেবে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে নির্বাচিত করায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রোস গেব্রেইয়াসুস বলেছেন, জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে তাদের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। মুগাবেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ঘোষণার পর ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র হতাশা ব্যক্ত করেছে। বিস্ময় প্রকাশ করে ব্রিটেন বলেছে, রবার্ট মুগাবেকে দূত নিয়োগ করার ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনেক ভালো কাজ আড়াল হয়ে যাবার আশঙ্কা আছে। সমালোচকরা বলছেন, মি. মুগাবের নিজের দেশে মানুষের অধিকারের যে অবস্থা, তা বিবেচনা করলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে মুগাবেকে মনোনয়ন দেয়াটা হতাশাজনক সিদ্ধান্ত এবং এতে সংস্থাটির ঐতিহ্য ম্লান হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে কেউ কেউ। জিম্বাবুয়ের বিরোধী দল ও ক্যাম্পেইন গ্রুপগুলো বলছে এমন সিদ্ধান্ত এক ধরনের রসিকতা।
তবে, মুগাবের এই মনোনয়নটিকে রবার্ট মুগাবের জন্য একটি ইতিবাচক বিষয় বলে ব্যাখ্যা করেছেন মুগাবের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র মাজি-উইসা। ‘বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক অবরোধ আর নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত দেশের প্রায় ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যেও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তিনি একজন অবিসংবাদিত নাম। বিভিন্ন রকমের কঠিন পরিস্থিতিতেও তার সাধ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে তিনি সবচেয়ে ভালো করার চেষ্টা করেছেন বলেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ও অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে মুগাবেকে দায়ি করে আসছে। দেশটির স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনাও সন্তোষজনক নয় বলে সমালোচকরা বলে আসছেন। মিস্টার মুগাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
যদিও এসব আমলে নেননি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন প্রধান ড. টেড্রোস গেব্রেইয়াসুস। জনস্বাস্থ্য বিশেষ করে সংক্রামক নয়, এমন রোগ ঠেকাতে ও ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে’ জিম্বাবুয়ের সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কর্মকা-ের প্রশংসা করেছেন তিনি। ইথিওপিয়ার নাগরিক টেড্রোস আফ্রিকা থেকে নির্বাচিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রথম শীর্ষ নির্বাহী। বুধবার তিনিই সংক্রামক নয় এমন রোগ ঠেকাতে অবদান রাখায় মুগাবেকে সংস্থার শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ দেন। সূত্র : বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট, সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ