প্রয়োজনীয় নির্বাচনী প্রশিক্ষণ চায় পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধানরা
সাইদ রিপন : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধানরা। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে এ দাবি জানায় তারা। সংলাপে ৩০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপ শেষে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ) এর চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, প্রশিক্ষণ না নিয়ে মাঠে গিয়ে নানা রকমের আনাড়িপনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এর পুনরাবৃত্তি আমরা ভবিষ্যতে দেখতে চাই না। সে কারণে আমি সুনির্দিষ্টভাবে প্রস্তাব দিয়েছি যাতে ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ট্রেনিং অব ট্রেইনারের আয়োজন করা হয়। বিশেষ করে পর্যবেক্ষক প্রধানদের ডেকে ট্রেনিং দেয়া হয়। ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) পরিচালক আবদুল আলিম বলেন, পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে যে ধরনের চ্যালেঞ্জগুলো আসে সেইগুলো আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। নির্বাচনের আগের দিন আমাদের পরিচয়পত্র দেয়া হয়। আমরা তার একটু আগে কার্ড দেয়ার জন্য বলেছি। দলের পক্ষে পর্যবেক্ষক হয়ে কাজ করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসির একটি গাইডলাইন আছে। আমি যতটুকু জানি বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্বাচন কমিশন কোনো পর্যবেক্ষককে এই বিধি লঙ্ঘন করার জন্য কখনও কাউকে বরখাস্ত করেনি। আমাদের ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি কোড অব কনডাক্ট আছে। সেটা আমরা শক্তভাবে মেনে চলি। তিনি বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে আমার দুটি পরামর্শ ছিল। এক. ভোটার তালিকা প্রকাশ করার আগে একটি তৃতীয় পক্ষকে স্বাধীন অডিট করা। দুই. ভোটার তালিকা একেক বছর একেক সময়ে শুরু না করে একটি নির্দিষ্ট দিনে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করা। আর ওই দিনটিকে জাতীয় ভোটার দিবস ঘোষণা করা।
ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্স (ফেমা) এর প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান বলেন, বর্তমান পর্যবেক্ষক নীতিমালা অনুযায়ী ২৫ বছরের নিচে কেউ পর্যবেক্ষক হতে পারবে না। আমি তাদের বলেছি এটি ২০ থেকে ২৫ বছর মধ্যে রাখা হোক। নীতিমালা অনুযায়ী এক জায়গার পর্যবেক্ষক অন্য জায়গায় পর্যবেক্ষণ করতে পারবে না। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদেরও পরীক্ষা করে এই সুযোগ দেয়া হোক। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন