৭ মার্চ জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবি এবং কিছু প্রশ্ন
সাত মার্চ অবশ্যই জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা উচিত। কিন্তু এটা তো হাইকোর্টের বিষয় নয়। হাইকোর্টের এখতিয়ার হতো তখন যদি বর্তমানে সরকারে থাকত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী কোনো দল। ৭ মার্চকে যারা অবমূল্যায়ন করছে, অস্বীকার করছে তখন এখানে হাইকোর্টের কিছু করার ছিল। যিনি এই রিট আবেদনটি করেছেন তিনি কি উদ্দেশ্যে এটা করেছেন তা আমি জানি না। তিনি কি তাহলে ধরে নিয়েছেন এ সরকার ৭ মার্চের বিরোধীতা করছে?! ৭ মার্চ জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে অনেক আগেই আলোচনা হয়েছে। কথা হয়েছে। জাতীয় দিবস ঘোষণার কাজটি কে করবে? সরকার। এটা তো সরকারের কাজ। আওয়ামী লীগের কাজ। এটা সরকার ও আওয়ামী বাস্তবায়ন করবে।
৭ মার্চ নিয়ে কেন হাইকোর্টকে রোলিং দিতে হবে। একবারও কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, আমরা ৭ মার্চকে স্বীকার করি না বা এ সরকার ৭ মার্চকে গুরুত্ব দেয় না? তাহলে কেন এটা হাইকোর্টকে বলতে হবে? রিটকারী তো সরাসরি সরকারকেই বলতে পারেন।
৭ মার্চের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তো এ সরকারই আদায় করেছে। ইউনেস্কোতে বর্তমান সরকারকেই যেতে হয়েছে। এসব করে অতি উৎসাহী কিছু লোক হাইকোর্টের সময় নষ্ট করছেন। হাইকোর্টের আরও অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। রিট আবেদনকারী কেন রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের জন্য হাইকোর্টে যাচ্ছেন না? রাষ্ট্রধর্ম প্রতিষ্ঠা করা তো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাইরে। বঙ্গবন্ধু ধর্মের নামে রাজনীতি করতে বলেননি। বঙ্গবন্ধুর প্রতি যদি তার এতই ভালবাসা তাহলে তিনি কেন এ ব্যাপারে হাইকোর্টে যাচ্ছেন না? তিনি এ ব্যাপারে কোর্টের কাছে গিয়ে বলতে পারেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বর্তমান সরকার অনুসরণ করছে না। অতি উৎসাহী হয়ে এই ভদ্রলোক কি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন তা বুঝতে পারছি না।
পরিচিতি: সভাপতি, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি
মতামত গ্রহণ : সাগর গনি
সম্পাদনা : আশিক রহমান