মেহেরপুরে কোল্ড স্টোরেজে রক্ষিত কৃষকের আলুবীজ নষ্ট
জাকির হোসেন, মেহেরপুর : কোল্ড ষ্টোরেজের আলু সংরক্ষণে অসাবধানতার কারণে মেহেরপুরে কৃষকের অর্ধকোটি টাকার আলুবীজ এবার নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে জেলায় এবার আলু চাষ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা কৃষি বিভাগের। কৃষকরা এই ক্ষতির জন্য মেহেরপুরে গাংনী উপজেলার বামন্দির জামান কোল্ড ষ্টোরেজ প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানিয়েছে ওই কোল্ডষ্টোরেজে ৩০ হাজার বস্তা প্রায় (তিন হাজার টন) আলু ছিল। যার অধিকাংশ বস্তার আলুই পচে ও বীজ হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষীরা জানান, কয়েক দিন ধরে জমি তৈরি করে কোল্ড স্টোরে আলু নিতে এসে দেখেন আলু থেকে গাছ বের হয়ে গেছে। এই আলু জমিতে রোপন করলে কোন ফলন হবেনা। এবার তারা আলু না রোপন করতে পারলে কয়েক বছর পিছিয়ে যাবেন বলে জানান। গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের কৃষক হেমায়েত উদ্দিন জানান, কোল্ড স্টোরেজ এ তার ৪০ বস্তা আলুর বীজ রক্ষিত ছিল। ১০-১৫ দিন ধরে ঘুরেও মালিক পক্ষ তাদের রক্ষিত আলুর বস্তা এখনো দিতে পারেননি। প্রতি বস্তা আলু কোল্ড স্টোরেজে রাখতে কৃষকদের কাছ থেকে কর্তৃপক্ষ ৩১০ টাকা করে নিয়েছেন। সঠিক পরিমান তাপমাত্রা না পাওয়ায় আলুর বস্তায় বীজ বের হয়েছেন বলে কৃষরা দাবী করছেন। জামান কোল্ড স্টোরেজ এর সুপারভাইজার উজ্জল জানান, কোল্ড স্টোরেজে ঠিকমত মেশিন চলে না। শেষ সময় হওয়ায় মেশিন বন্ধ রাখা হয়েছে।
কিছু আলুতে গাছ বের হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের মালিকের রাখা আলু দেওয়া হচ্ছে। মালিক কোথায় আছে তা জানেন না তারা।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আলুর বীজ নষ্ট হওয়ার কথা আমি শুনেছি। জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। আমরা চাষীদের গুণগত মানের আলুর বীজ জমিতে রোপন করার জন্য সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। সম্পাদনা : মাহফুজ উদ্দিন খান॥