দুর্নীতির অভিযোগে আটকরা মীমাংসা চান -ক্রাউন প্রিন্স
ইমরুল শাহেদ : সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগে পরিচালিত অভিযানে যে ২০০ জন ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে তাদের বেশির ভাগই এই ব্যাপারে একটা মীমাংসা চায় এবং তাদের সকল সম্পদ সরকারকে হস্তান্তরও করতে চায়।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে থাকা সকল ফাইল আমরা তাদের দেখিয়েছি। সেগুলো দেখার পর তাদের ৯৫ ভাগই মীমাংসা চেয়েছে।’ তাদের হাতে নগদ অর্থ এবং শেয়ার – সবই তারা সরকারকে দিয়ে দিতে চায়। ‘তাদের মাত্র এক শতাংশ নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সেখানেই শেষ হয়ে যাবে। মাত্র ৪ শতাংশ বলেছে তারা দুর্নীতিবাজ নয়। তারা আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি চায়’ বলেছেন প্রিন্স।
ক্রাউন প্রিন্স বলেছেন, একজন সাবেক কর্মকর্তার হিসাব অনুসারে সরকার মীমাংসার মাধ্যমে ১০০ বিলিয়ন ডলার অবৈধ অর্থ উদ্ধার করতে পারবে। সরকার থেকে বলা হয়েছে, তারা প্রায় ২০৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তার মধ্যে সাত জনকে তাৎক্ষণিকভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। বেশ কয়েক জন প্রিন্স, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীদের রিয়াদের বিলাসবহুল রিজ কার্লটন হোটেলে আটক রাখা হয়েছে। কারণ তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের সময় প্রায় দুই হাজার ব্যাংক এ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। অভিযানের জন্য যাতে অর্থনৈতিক বিপর্যয় না ঘটে সেজন্য এটা করা হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আটক থাকা ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাণিজ্য স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে। প্রিন্স মোহাম্মদ টাইমসকে বলেছেন, ‘আমাদের এক্সপার্টরা নিশ্চিত করেছে যে, এই প্রক্রিয়ার কারণে কোনো ব্যবসাই দেউলিয়া হবে না।’ কেউ কেউ বলছেন, এই অভিযানের কারণে তার রাজনৈতিক ক্ষমতা হাস্যকর হয়ে উঠেছে। তিনি যাদের রিজ হোটেলে আটক রেখেছেন তারা প্রকাশ্যেই প্রিন্স এবং তার সংস্কারের প্রতি অনুগত। প্রিন্স মোহাম্মদ বলেছেন, রাজ পরিবারের বেশির ভাগই তার পক্ষে আছে। তিনি বলেন, ‘সৌদি আইন অনুসারে সরকারি কৌসুলি স্বাধীন। আমরা তার কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করি না। কেবল রাজাই তাকে বরখাস্ত করতে পারেন। তিনি প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করেন। একজন একটি সংকেত পাঠাতে পারে। এখন যে সংকেতটি এগিয়ে যাচ্ছে সেটি হলো ‘আপনি পালাতে পারবেন না।’ সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন