বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি প্রশাসনের উদ্যোগে আজ সারাদেশে আনন্দ শোভাযাত্রা
আনিসুর রহমান তপন : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দেয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে আজ শনিবার আনন্দ শোভাযাত্রা ও উৎসব পালন করা হবে। সারাদেশে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করবে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণটি ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যে’র স্বীকৃতি পাওয়ায় উৎসব পালনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই অর্জনকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে আজ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একযোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচিত্র ‘ওরা ১১ জন’ প্রদর্শন করা হবে।
কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীতে বেলা ১২টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে কলাবাগান-সায়েন্সল্যাব হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে শেষ হবে। বেলা ৩টায় প্রধান অতিথি শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সভা শুরু হবে। সব শেষে সংস্কৃতি অনুষ্ঠানসহ ৭ মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত লেজার লাইট শো প্রদর্শন করা হবে।
তিনি বলেন, শোভাযাত্রায় মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিশু-কিশোর ও ক্রীড়া সংগঠন ও খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ, সাংস্কৃতিককর্মী ও সংগঠক, শিল্পকলা একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, এনজিও, স্কাউটস ও রোভারের সদস্যরা অংশ নেবেন। পুলিশের সুসজ্জিত ঘোড়া, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাদক দলসহ সর্বস্তরের জনগণ এ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিবেন। তাছাড়া ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সংগঠন নিজ উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দীতে মিলিত হবেন। আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে ঢাকা শহরকে প্রাণচাঞ্চল্যমুখর করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই প্রায় একই সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে শোভাযাত্রা করে সভাস্থলে মিলিত হবেন।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করা হবে জানিয়ে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। সবাই এখানে আসতে পারেন।
সরকারিভাবে আয়োজন করা এই আনন্দ শোভাযাত্রার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বিষয় জড়িত কি না জানতে চাইলে শফিউল বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যখন ঘোষণা করা হয়েছিল তখনও রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান করেছি, একইভাবে এটাও করা হচ্ছে। এটা আমাদের জাতির জন্য বিশাল বড় অর্জন। দলমত নির্বিশেষে সবার জন্যই অর্জন। এখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই, এটা বাংলাদেশের অর্জন।
শোভাযাত্রার সময় রাজধানীতে কোনো রাস্তা বন্ধ থাকবে কি না ঢাকা মহানগর পুলিশ তা জানিয়ে দেবে বলেও জানান সিনিয়র সচিব। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ