গুমকে স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : রিজভী
কিরণ সেখ : গুমকে স্বীকৃতি দিয়ে তার দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোট আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ‘বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’ উপলক্ষে এ কর্মসূচি অয়োজন করা হয়।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও তো গুম হয়- জাতীয় সংসদে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এর মানে উনি (প্রধানমন্ত্রী) স্বীকার করছেন, অন্য দেশে গুম হয়, আমার দেশেও হয়। অন্য দেশে গুম হয় বলে আমি গুম করি। সুতরাং গুমের দায় প্রধানমন্ত্রী নিজে স্বীকার করে নিলেন এবং গুমকে স্বীকৃতি দিলেন। তিনি স্বীকারোক্তি দিলেন (তিনি) গুম করেন। এটা অন্যায় কিছু নয়, অন্য দেশেও হয়, আমার দেশেও হয়।
এদেশে কে গুম করেন- এই প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, গুম রাষ্ট্রের পক্ষে থেকে করা হয়। যাদের গুম করা হয়, তারা অধিকাংশ বিরোধী দলের নেতাকর্মী, চিকিৎসক, পেশাজীবী ও সাংবাদিক। অর্থ্যাৎ কেউ বাদ নেই শেখ হাসিনার গুম থেকে। কেউ যদি কোন কারণে সরকারের স্বার্থের বাইরে কাজ করেন তাহলেই তিনি গুম হন।
গুম হয়, আবার তো ছাড়াও পেয়ে যায়- প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এর মানে উনি (প্রধানমন্ত্রী) স্বীকার করে নিচ্ছেন, গুম করে রাখা হয়। স্বার্থের বিষয়টা একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আসলে তখন ছেড়ে দেওয়া হয়। আর যখন স্বার্থের বিষয় মিলবে না, তখন তিনি চিরদিনের জন্য গুম হয়ে যাবে। যেমন বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম ও সুমন চিরদিনের জন্য গুম হয়েছে।
উনার (প্রধানমন্ত্রী) ইচ্ছায় গুম হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, উনার (প্রধানমন্ত্রী) ইচ্ছায় অনেক দিন পর কেউ কেউ বের হয়ে আসে, আবার উনার ইচ্ছায় চিরস্থায়ীভাবে কেউ কেউ গুম হয়। গত বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নিজের এটা স্বীকার করেছেন। এই দুঃশাসন এদেশের আর চলবে না বলেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন রিজভী। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ