জান্নাতে আদম হাওয়ার বিয়ে!
ওমর শাহ : সৃষ্টির প্রথম মানব হযরত আদম আ.। সৃষ্টির পর তিনি দীর্ঘ সময় একাকী জীবন যাপন করছিলেন। একপর্যায়ে এক ধরনের শূন্যতা অনুভব হলো হযরত আদমের। আল্লাহ সৃষ্টি করলেন হযরত হাওয়া আ. কে। হযরত হাওয়া আ. কে দেখে সব শূন্যতা পূর্ণতায় পরিণত হলো। হযরত আদম আ. এর সঙ্গে বিয়ে হলো হযরত হাওয়া আ. এর। তারপর দুজনকেই আল্লাহ জান্নাতে বসবাসের নির্দেশ করলেন। জান্নাত ছিল তাদের জন্য উন্মুুক্ত। তবে নিষিদ্ধ হলো শুধুমাত্র একটি বৃক্ষ। যার ধারে কাছেও যেতে নিষেধ করা হয়েছিল হযরত আদম ও হাওয়াকে। কিন্তু শয়তানের কুমন্ত্রণা তাদের রক্ষা করতে পারেনি। পরিণামে বহিষ্কার হলেন জান্নাত থেকে। আল্লাহর নির্দেশে তাদের পৃথিবীতে পাঠানো হলো। এভাবেই পৃথিবীতে শুরু হলো মানবসমাজের বসবাস। পবিত্র কুরআনুল কারীমে ঘটনাটি উল্লেখ করে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে আদম! তুমি এবং তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর। অতঃপর সেখান থেকে যা ইচ্ছা খাও তবে এ বৃক্ষের কাছে যেয়ো না। তাহলে তোমরা গোনাহগার হয়ে যাবে। অতঃপর শয়তান উভয়কে প্ররোচিত করল, যাতে তাদের অঙ্গ, যা তাদের কাছে গোপন ছিল, তাদের সামনে প্রকাশ করে দেয়। সে বলল, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করেননি; তবে তা এ কারণে যে, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও, কিংবা হয়ে যাও চিরকাল বসবাসকারী। সে তাদের কাছে কসম খেয়ে বলল, আমি অবশ্যই তোমাদের হিতাকাক্সক্ষী। অতঃপর প্রতারণাপূর্বক তাদেরকে রাজি করে ফেলল। যখন তারা বৃক্ষ আস্বাদন করল, তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের সামনে খুলে গেল এবং তারা নিজের উপর বেহেশতের পাতা জড়াতে লাগল। তাদের প্রতিপালক তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদের এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করিনি এবং বলিনি যে, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। তারা উভয়ে বলল, হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব। আল্লাহ বললেন, তোমরা নেমে যাও। তোমরা একে অপরের শত্রু। তোমাদের জন্যে পৃথিবীতে বাসস্থান আছে এবং একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ফল ভোগ আছে। বললেন, তোমরা সেখানেই জীবিত থাকবে, সেখানেই মৃত্যুবরণ করবে এবং সেখান থেকেই পুনরুত্থিত হবে। (সুরা আরাফ : আয়াত ১৯-২৫) সূত্র : কাসাসুল কুরআন , সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন