৮বছরের শিশু ধর্ষণকারীর বিচারে এলাকাবাসীর ৭ দিনের আল্টিমেটাম
মাঈন উদ্দিন আরিফ: নোয়াখালীতে ৮বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে খুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। আগামী ৭দিনের মধ্যে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক বিচার না করলে কঠোর আন্দোলন করাও ষোষণা দেন তারা।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৮বছরের শিশু ইতিকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কঠোর আন্দোলনের কথা বলেন তারা। মানববন্ধটির আয়োজন করে ঢাকাস্থ বৃহত্তর নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরবাসী।
মানববন্ধনে বলা হয়, গত ১৮নভেম্বর সন্ধ্যায় মাকে খুঁজতে ঘর থেকে বের হলে নোয়াখালী, চাটখিলের দক্ষিণ মনিপুর গ্রামের গোলাম মাওলার ৮বছরের মেয়ে ইতিকে খঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে তাকে খুঁজার চেষ্টা করা হলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার দু’দিন পর ২০নভেম্বর পাশের একটি মানবশূন্য বাড়ির বালুর স্তুপে অর্ধ নগ্ন ও পা বাঁধা অবস্থায় ইতির লাশ দেখতে পায় এলাকর মানুষ। পরে থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ লাশটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ তদন্তের রিপোর্টে বলা হয় ইতিকে ধষর্ণ করে হত্যা করা হয়েছে।
এই নিয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল আনোয়ার বলেন, ৮বছরের শিশুটিকে বালুর স্তুপ থেকে অর্ধ নগ্ন এবং পা বাঁধা অবস্থায় আমরা উদ্ধার করে পোস্টমটেম করিয়েছি। কিন্তু এখনো পোস্টমটেমের রিপোর্ট আমরা পাইনি।
তিনি বলেন, মেয়েটির পারিবার অগ্যাতনামা একটি মামলা করেছে। এই হত্যা নিয়ে আমাদের পুলিশ কাজ করছে আমার আসা করি অতি দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারবো।
মানববন্ধনে ইতি হত্যা আন্দোলনের আহবায়ক কবির হোসেন বলেন, শিশু মেয়েটিকে ধর্ষণ করে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে ৭দিনের মধ্যে আইনের আওয়তায় এনে বিচার না করা হলে ঢাকাস্থ বৃহত্তর নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুরবাসী এর বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামবে।
সাবেক সচিব মুক্তিযোদ্ধা কায়কোবাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে নোয়াখালী এবং লক্ষ¥ীপুরের সামাজিক প্রায় ৩০টি সংগঠন অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলও করে সংগঠনটি। সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম সুমন