রাজশাহীর চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র অচল, বন্ধ রয়েছে গ্যাস সরবরাহ
মাহফুজ উদ্দিন খান : গ্যাস সরবরাহ না থাকায় রাজশাহী বিভাগের সরকারি মালিকানার চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে রয়েছে। রাজশাহী বিভাগে গ্যাস বিতরণ ও বিপণনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) গ্যাস-স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে বলেছে। তবে বেসরকারি মালিকানাধীন তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু আছে। পিজিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গ্যাসের এই সরবরাহ-স্বল্পতা সাময়িক। সারা দেশে গ্যাস রেশনিংয়ের অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে। শিগগিরই এটা ঠিক হয়ে যাবে।
গ্যাস সরবরাহ না থাকায় বন্ধ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হচ্ছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী ১০০ মেগাওয়াট ও বাঘাবাড়ী ৭১ মেগাওয়াট কেন্দ্র। এই দুটি পিডিবির অধীনে পরিচালিত। অন্য কেন্দ্র দুটি সায়েদাবাদে, সরকারি খাতের ‘নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এনডিব্লউপিজিসিএল)’। এই দুটির প্রতিটির উৎপাদনক্ষমতা ২২৫ ইউনিট করে।
পিজিসিএল সূত্রে জানা গেছে, দেশে এখন প্রতিদিন গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে প্রায় ২৭০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে পিজিসিএলের জন্য দৈনিক বরাদ্দ ১২ কোটি ঘনফুট। প্রতিবছর মার্চ মাসে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়।
পিজিসিএল কর্তৃপক্ষ গ্যাস-স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে ১১ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে সায়েদাবাদের ইউনিট-১ বন্ধ করার জন্য মৌখিকভাবে প্ল্যান্ট ব্যবস্থাপককে অনুরোধ জানায়। সেখানকার ২ নম্বর ইউনিট উৎপাদনে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু গ্যাসের অভাবে চালু করা যায়নি।
সায়েদাবাদের ইউনিট-১ -এর ব্যবস্থাপক হারুন অর রশিদ বলেন, পিজিসিএল কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুরোধে কেন্দ্রটি বন্ধ করা হয়েছে। এখন তাদের গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে না। এ জন্য তাদের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান বলেন, গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকতে পারে। যে কোনো মূল্যে রাজশাহী বিভাগের মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাসের বরাদ্দ চায়।
রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বলেন, রাজশাহী বিভাগে গ্যাস সরবরাহ বিস্ময়করভাবে কমে যাওয়ার ঘটনায় তিনি চরম হতাশ হয়েছেন। এটা দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রতি উদাসীনতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, রাজশাহী বিভাগের গ্যাসের প্রকৃত যে চাহিদা, তার ভিত্তিতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং বন্ধ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ করতে হবে। সূত্র : প্রথমআলো অনলাইন