রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সহায়তা ক্রমাগতভাবে কমছে
হ্যাপী আক্তার : মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য প্রথমদিকে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা বেশি পরিমাণে আসলেও বর্তমানে তা ক্রমাগতভাবে কমে আসছে। ফলে এরই মধ্যে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব। হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ৬শ মেট্রিক টন ত্রাণ দরকার। ত্রাণের অপেক্ষায় কক্সবাজারের বালুখালির ক্যাম্পে দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে থাকছে রোহিঙ্গারা। তবে মাসখানেক আগেও ছিল ভিন্ন চিত্র। ক্যাম্পের বাইরে সারিবদ্ধ ত্রাণবাহী ট্রাক ছিল চোখে পড়ার মতো। যেখানে রোহিঙ্গারা চাহিদার বেশি ত্রাণ নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করত, সেখানে বর্তমানে ত্রাণের সংকট। একই দশা অন্যান্য ক্যাম্পগুলোতেও। তাদের দাবি-ভোর থেকে অপেক্ষার পর ত্রাণ পাওয়া যায় বেলা ১১টার পরে। আবার কখনো কখনো ত্রাণ পেতে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়। রোহিঙ্গাদের জন্য দৈনিক প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন ত্রাণ প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে বেসরকারি ত্রাণের পরিমাণ কমে প্রতিদিন রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে ত্রাণ মিলছে ৫০ ট্রাকের মতো।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহিদুর রহমান বলেন, ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গাদের জন্য দৈনিক সর্বোচ্চ ২০০টির মতো ত্রাণের ট্রাক আসত। কিন্তু বর্তমানে দৈনিক ৫০টির মতো ত্রাণের ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির জাতীয় ডাব্লিউএফপি রোহিঙ্গাদের চাল বিতরণ করছে। তবে কয়েক মাসের মধ্যে তাদের সব রোহিঙ্গাদের জন্য দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের।
বর্তমানে দিন দিন রোহিঙ্গাদের চাহিদা বাড়লেও তার বিপরীতে কমছে ত্রাণের পরিমাণ। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকটের আশংঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র : চ্যানেল টুয়েন্টিফোর