টেলিটকের উন্নয়নে ভারতের সহায়তা চাইলো বাংলাদেশ
আনিসুর রহমান তপন : বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে টেলিটক সার্ভিসের উন্নয়নে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রস্তাবের এই বিষয়টি অবহিত করা হবে। সম্প্রতি প্রতিমন্ত্রী আর্জেন্টিনা সফরকালে ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট কন্ফারেন্সে, ২০১৭ (ডাব্লিউটিডিসি-১৭) যোগদানকারী ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে এমন প্রস্তাব দেন। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) আন্তর্জাতিক এ কনফারেন্সটি আয়োজন করে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানাগেছে, আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারানা হালিম জানান, বাংলাদেশ শিগগিরি ফোর-জি ইন্টারনেট সার্ভিস চালু হচ্ছে। এ খাতে বিনিয়োগের পর্যাপ্ত সুবিধা আছে। তাছাড়া বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে ‘লো কস্ট ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজি’ প্রকল্পে ভারতীয় পক্ষকে যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নের আমন্ত্রণ জানালে তারা জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব দেয়। সেসময় প্রতিমন্ত্রী তাৎক্ষণিক বাংলাদেশ অংশের রূপরেখা ভারতীয় প্রতিনিধি দলের কাছে বিস্তারিত জানান। বৈঠকে টেলিটকের জন্য ডিজিটাল ভিলেজ গঠনের প্রস্তাব দিয়ে ভারতীয় প্রতিদনিধি দল এজন্য বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রীকে ইন্ডিয়ান লাইন অব ক্রেডিট থেকে অর্থ ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
এছাড়াও কনফারেন্সে বারকিনাফাসোর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়নে অবকাঠামোর উন্নয়ন, স্যাটেলাইট ব্যবস্থাপনা, ব্যাকহোল, কানেক্টিভিটি উন্নয়নে নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাখ্যা করেন। বৈঠকে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে উভয় দেশের পারষ্পরিক সহযোগিতার সুযোগের কথাও এসময় উল্লেখ করেন তারানা হালিম।
তাছাড়া পোল্যা-ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আগামী ২০১৮ সালে আইটিইউ‘র নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিযোগিতায় তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
এছাড়াও সম্মেলনে বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের অর্জন ও সম্ভাবনার কথা বলেছেন। সম্মেলনে তিনি বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বাংলাদেশ অনেক বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডাকঘরে ক্যাশকার্ড চালুকরণ, কাগুজে নোটবিহীন লেনদেন চালুকরণ, নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণসহ পোষ্টাল ভ্যানে নারী চালক নিয়োগের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রয়াসের কথাও সেখানে জানান প্রতিমন্ত্রী। পাশাপাশি জাতিষংঘ ঘোষিত এমডিজি,২০১৫ বাস্তবায়নে সাফল্য অর্জন, রুপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশে নারীর দক্ষতা উন্নয়ন, আইসিটি শিক্ষায় নারর অংশ গ্রহণ, ডিজিটাল অর্থনীতিতে নারীর সম্পৃক্ততা ও ইনোভেশন প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সে কথাও সম্মেলনে জানান তারানা হালিম। সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম সুমন