মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ৪ মাসে ৩৩ ভাগ বৃদ্ধি
রাশিদ রিয়াজ : পেন্টাগন এক প্রতিবেদনে বলছে গত চার মাসে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বেড়েছে এবং গত জুলাই থেকে ওই অঞ্চলে ৪০ হাজার ৫১৭ জন সেনার উপস্থিতি থেকে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ ও অন্যান্য নিরাপত্তা মিশনের লোকবল এবং সেনা সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ১৮০ জনে। এধরনের বৃদ্ধির হার ৩৩ ভাগ। শুধু মার্কিন সেনা সংখ্যা মধ্যপ্রাচ্যে এসময়ে বেড়েছে ১১ হাজার থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত। ষোল বছর ধরে আফগানিস্তানে যুদ্ধের কোনো ফলাফল না এলেও সেখানে আরো ৩ সহ¯্রাধিক সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মিসরে ৪৫৫, ইসরায়েলে ৪১, লেবাননে ১১০, সিরিয়ায় ১ হাজার ৭২৩, তুরস্কে ২ হাজার ২৬৫, জর্ডানে ২ হাজার ৭৩০, ইরাকে ৯ হাজার ১২২, কুয়েতে ১৬ হাজার ৫৯২, সৌদি আরবে ৮৫০, ইয়েমেনে ১৪, ওমানে ৩২, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪ হাজার ২৪০, কাতারে ৬ হাজার ৬৭১, বাহরাইনে ৯ হাজার ৩৩৫ জন মার্কিন সেনা রয়েছে বলে নিউজউইকের এক প্রতিবেদনে বলা হলেও গত জুন থেকে এসব দেশে মার্কিন সেনা বৃদ্ধি পায়। পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা হচ্ছে, মিসরে ৩৯২, ইসরায়েলে ২৮, লেবাননে ৯৯, সিরিয়ায় ১ হাজার ২৫১, তুরস্কে ১ হাজার ৪০৫, জর্ডানে ২ হাজার ৪৬৯, ইরাকে ৮ হাজার ১৭৩, কুয়েতে ১৪ হাজার ৭৯০, সৌদি আরবে ৭৩০, ইয়েমেনে ১৩, ওমানে ৩০, আমিরাতে ১ হাজার ৫৩১, কাতারে ৩ হাজার ১৬৪ ও বাহরাইনে ৬ হাজার ৫৪১ জন। পেন্টাগনের নীতি অনুসরে এসব দেশে মার্কিন সেনা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ ড. মিকা জেঙ্কো লন্ডন ভিত্তিক চ্যাথাম হাউজকে বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ও সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের দীর্ঘস্থায়ী অগ্রাধিকারের সাথে আরো ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে। এই বিশেষজ্ঞ বলেন, মার্কিন জেনারেল ও সামরিক উপদেষ্টাদের যারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চারপাশে অবস্থান করছেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো শত্রু দেশকে অনায়াসে পরাজিত করতে সক্ষম। স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল