বুদ্ধিজীবীরা পালিয়ে যেতে চাননি
সোহেল রানা
বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে আমাদের মেধাশূন্য করে দিয়ে গেছে পাকিস্তানিরা, এটা সত্য। আমার কথা হলো, তিন তারিখে যুদ্ধ ঘোষণা করার পরে, তারা তখন ঢাকায় কি করছিলেন? যুদ্ধের প্রায় নয় মাসের মধ্যে তারা পালিয়ে যান নি কেন? ধরে নিলাম চাকুরির টানে পালিয়ে যাননি। তাহলে পরে কি হল? করতে পারলেন চাকুরি? প্রাণে মারা পড়তে হল। তারা কাদেরকে রিসিভ করার জন্য ঢাকায় ছিলেন? এ প্রশ্ন জাগে মনে। তারা যদি পালিয়ে যেতেন, আমরা তাহলে মেধাশূন্য হতাম না। ১৩, ১৪, ১৫ ডিসেম্বর যখন রাজাকাররা তাদেরকে খুন করলো, তখনো তারা পালিয়ে যেতে পারলেন না। যুদ্ধকালীন তারা ঢাকায় ছিলেন, তারা চাকুরি করেছেন পাকিস্তান থেকে বেতন নিয়েছেন। তারা বলতে পারেন যাওয়ার সুযোগ ছিল না। পালাতে পারি নি। কিন্তু তার পরবর্তীকালে ৩ তারিখে যখন মুক্তিবাহিনী আক্রমন করল, সেই তিন তারিখের পরে একটা রেজাল্ট হবেই যখন বোঝা গেল, সাত দিনের বেশি এ যুদ্ধ টিকবে না। আমরা জিতে যাব। তখন ৩ তারিখের পরে ওনারা এখানে ছিলেন, সুযোগ করে দিলেন যে, ওনাদেরকে যাতে পাকিস্তানিরা গলা কেটে ফেলতে পারে। ওনারা ইচ্ছে করেই পালাননি। আসলে তারা পালিয়ে যেতে চান নি।
পরিচিতি : চলচ্চিত্র অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ