নওগাঁর পতœীতলা দিবর দীঘি হতে পারে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র
আদম মালেক: যথাযথ উদ্যোগ নিলে নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার ঐতিহাসিক দিবর দীঘি দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে । কালের ভ্রুকুটি উপো করে আজো দন্ডায়মান দীঘির বিজয় স্তম্ভটি। সেটি দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী দিবর দীঘিতে ভীড় জমাচ্ছে । দিবর দীঘি বরেন্দ্র ভূমি নওগাঁ জেলার পতœীতলা উপজেলার দিবর ইউনিয়নের দিবর নামক গ্রামে অবস্থিত। দীঘিটিকে ঘিরে লোক মুখে অনেক কল্পকাহিনী প্রচলিত আছে। এলাকার প্রবীন ব্যক্তিদের মতে, জৈনক বিষু কর্মা নামে এক বীর এক রাতে এই দীঘি খনন করেন। আবার কারও কারও মতে জীনের বাদশাহর হুকুমে এক রাতে বিশাল আকৃতির এই দীঘিটিকে খনন করা হয়। তবে যুগ যুগ ধরে লালিত ঐসব গল্পের কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। আজ অবধি সঠিকভাবে জানা যায়নি কে প্রাচীন দ এই দীঘিটি খননও স্তম্ভটি তৈরী করেছিলেন।
দীঘির মাঝখানের এই বিজয় স্তম্ভটি ৯ কোণ বিশিষ্ট। এক কোণ থেকে অপর কোণের দুরত্ব ১২ ইঞ্চি। স্তম্ভটির উপরিভাগে পর পর তিনটি রেখা আছে যা স্তম্ভটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। এর শীর্ষদেশ নান্দনিক কারুকার্যখচিত মুকুটাকারে নির্মিত।
বিজয় স্তম্ভটির শীর্ষদেশে কোনো মূল্যবান বস্তু আছে ভেবে বহু আগেএর শীর্ষদেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। কথিত আছে ঐসব ব্যক্তিদের প্রত্যেকে দিঘীতে ডুবে মারা গেছেন। এক সময় দিবর দীঘির যথেষ্ট জমি ছিল। কিন্তু ভূমিদস্যুদের কারণে দিঘীর অনেক সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায়। বর্তমানে এই জলাশয়ের পরিমান ২০ একরেরও কম। মাছ চাষের জন্য লিজ দিয়ে সরকার প্রতি বছর দীঘি থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা রাজস্ব পায়।
প্রতিদিন শত শত পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে দিবর দীঘি পর্যটন কেন্দ্র। যুগ যুগ ধরে প্রতি বছরের চৈত্র মাসে বহিন্দু সম্প্রদায়ের বান্নির মেলা বসত, এখনো বসে। ২০০০ সাল থেকে স্থানীয়রা ঈদ মেলার আয়োজন করে আসছে। এ সময় মেলায় প্রতিদিন অর্ধলক্ষ দর্শনার্থীর সমাগম হয়।