শেরপুরে ৬ জেএমবি সদস্যের কারাদ-
তপু সরকার হারুন, শেরপুর : শেরপুরে সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় ৬ জেএমবি সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে শেরপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম.এ নূর এ রায় ঘোষণা করেন। দ-িতদের মধ্যে শহরের ঢাকলহাটী মহল্লার নাজমুস শাহাদাত রানা (২৮) ও পূর্বশেরীর মনিরুজ্জামান মানিক ওরফে কাওসারকে (২৮) ২০০৮ সালের সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের ৮ ধারায় ৭ বছর ও ৯ ধারায় উভয়কে ৬ বছরসহ ১৩ বছর করে সশ্রম কারাদ-সহ অর্থদ- দেওয়া হয়। এছাড়া মামলার অপর ৪ আসামি শহরের নওহাটা মহল্লার মারুফ হোসেন রনি (৩১), বাগরাকসা মহল্লার আমির হামজা খলিল (৩২), নালিতাবাড়ীর নাকশী গ্রামের তানভীর (৩২) ও জামালপুরের রানাগঞ্জ গ্রামের সোয়েবকে (৩৩) একই আইনের ৯ ধারায় ৫ বছর এবং ১২ ধারায় ৬ মাসসহ সাড়ে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদ- ও অর্থদ- দেওয়া হয়। নাজমুস শাহাদাত রানাসহ ৫ আসামির উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষিত হলেও অপর আসামী আমির হামজা খলিল পলাতক রয়েছে।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায়কে ঘিরে সকাল থেকেই আদালত অঙ্গনে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। আসামিদের বিশেষ নিরাপত্তায় জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনাসহ সাজার পর একইভাবে পাঠানো হয় কারাগারে। আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট অরুণ কুমার সিংহ রায় ওই রায়ের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ২০১০ সালের ২২ জানুয়ারি নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য শেরপুর শহরের ঢাকলহাটী মহল্লার রাজা মিয়ার ছেলে নাজমুস শাহাদাত রানার বাসায় অভিযান চালিয়ে রানা ও তার সহযোগী মনিরুজ্জামান মানিক ওরফে কাওসারকে আটক করে পুলিশ। ওইসময় ওই বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ১৭টি জিহাদি দাওয়াতপত্র ও বেশ কিছু সিডি-ক্যাসেটসহ নিষিদ্ধ সংগঠনের আলামত উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় শেরপুর সদর থানার তৎকালীন এএসআই সজীব খান বাদী হয়ে নাজমুস শাহাদাত রানা ও কাওসারসহ ৭ জনকে স্বনামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের ৮/৯ ধারায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
একই থানার তৎকালীন এসআই নজরুল ইসলাম একই বছরের ১৪ মার্চ এজাহারনামীয় ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামিরা বিভিন্ন পর্যায়ে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে যায় এবং এক পর্যায়ে আবুল কালাম আজাদ নামে এক আসামির মৃত্যু হয়। চলতি বছরের ২৩ মে এ মামলায় ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ১৮ জুন রাষ্ট্র ও আসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে উপস্থিত ৫ আসামির জামিন বাতিল এবং অপর আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেওয়া হয়।