পরশুরামে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ
শাহজালাল ভূঞা, ফেনী : পরশুরামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও ভাঙন স্থান মেরামত করে সাঁকো নির্মাণ করেছেন গ্রামবাসী। এতে করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন লোকজন যাতায়াতের সমস্যা কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- ঈদের দু-একদিন আগে মুহুরী নদীর মূল বেড়িবাঁধ ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে। এতে রাস্তাঘাট, ফসলী জমি ও বসতবাড়ি অনেকটাই পানিতে তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় কৃষি ফসল ও ভেসে যায় খামার-পুকুরের মাছ। অধিকাংশ গ্রামীণ সড়কে পানি ওঠে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অনেক স্থানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের দক্ষিন কাউতলী গ্রামের লোকজনের উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম গ্রামীণ সড়কটি বন্যার পানিতে ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় যানবাহন ও লোকজন চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। বন্যার পানি নেমে গেলেও সরকারি উদ্যোগে গ্রামীণ এ সড়কটি মেরামত না করায় কয়েকদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো স্থানীয় লোকজন। সরকারি কোনো তৎপরতা না দেখে গ্রামের লোকজন অনেকটা বাধ্য হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাই স্থানীয় ইউপি সদস্য কাউতলী গ্রামের মনছুর এর নেতৃত্বে গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি মেরামত করে যানবাহন ও লোকজন চলাচলের জন্য বিচ্ছিন্ন স্থানে একটি পুল নির্মাণ করেন।
গ্রামবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ রাস্তাটি মাটি ভরাটের পাশাপাশি ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া স্থানে বাঁশ সংগ্রহ করে গ্রামীণ সড়কটিতে সেতু নির্মাণ করেন গ্রামবাসী জানান- বন্যার পানিতে গ্রামীণ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় গ্রামের লোকজন উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বিচ্ছিন্ন রাস্তায় পুল নির্মাণ করে কিছুটা স্বাভাবিক করা হয়েছে গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
স্থানীয়রা এসব ভাঙন স্থান মেরামত করায় যানচলাচল ও যোগাযোগের সুবিধা হয়েছে। গ্রামীণ এই সড়কটি দ্রুত মেরামতের জন্য স্থানীয় লোকজন জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের প্রতি জোর দাবি জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনছুর আহমেদ জানান- বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ সড়কটি স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করে যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা সচল করেছে। বেড়িবাঁধ এবং রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কার করা হলে মানুষের দুর্দশা লাগব হবে।