আম বাজারের মন্দা কাটেনি, প্রতিকেজি আম বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৩৫ টাকায়
মতিনুজ্জামান মিটু: কিভাবে বেঁচে আছে তারা জানেনা। আম বাজারের মন্দা কাটেনি। চাষিরা বাধ্য হয়ে আম বিক্রি করছে পাঁচ থেকে ৩৫ টাকা কেজি বা ২০০ থেকে ১৪০০ টাকা মণ দরে। চাষিদের বরাতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের চাপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’২০১৭ প্রাপ্ত কৃষিবিদ ড. মো. শরফ উদ্দিন বলেন, এবার অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে ফলন বেশি এবং ক্রেতাও কম। প্রাণ, আকিজ ও সজিবসহ বিভিন্ন কোম্পানী চাষিদের কাছ থেকে জুস ও পার্ল তৈরীর জন্য স্থানীয় গুটিজাতের আম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা মণ দরে কিনছে। এছাড়া ব্রান্ডের খিরসাপাত বা হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকা মণ (৪০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বেশি পাকা স্থানীয়ভাবে খাওয়ার উপযোগি আম ৮০০ থেকে ১০০০ এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ফেনি ও কুমিল্লাসহ দূরবর্তী স্থানে পঠোনোর মতো আম বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা মণ দরে।
এ ব্যাপারে নাটোরের পুরস্কারপ্রাপ্ত ফল চাষি সেলিম রেজা বলেন, এই মৌসুমে সব জাতের আমের ফলন বেশ ভাল, কিন্তু ক্রেতা নেই। বাজার মূল্য না থাকায় চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। ক্রেতা অভাবে এখানে বেশি পাকা এবং স্থানীয় গুটি জাতের আম কেজি প্রতি আম ৬ টাকায়ও বিক্রি করতে দেখা গেছে। ৪৮ কেজি মণের ল্যাংড়া আম বিক্রি হয়েছে খিরসাপাত বা হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৬০০ টাকায়। এখন নাবি জাতের আমের দিকেই তাকিয়ে আছেন আম চাষিরা। এখানে দিন সাতেক পরে আ¤্রপালি জাতের প্রকৃত পাকা আম পাওয়া এবং খাওয়া যাবে। ২০ জুলাই এর পরে পাওয়া যাবে বারি-৪ জাতের আম। তারও পরে পাকবে ফজলি, গৌরমতি এবং আশ্বিণা জাতের আম।