বিড়ি উৎপাদন বন্ধ হলে ২০ লাখ শ্রমিক কর্মসংস্থান হারাবে
রিয়াজ হোসেন: বিড়ি শিল্প বন্ধ হলে ২০ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। বাংলাদেশে যতদিন সিগারেট থাকবে বিড়ি শিল্প ততদিন থাকবে। বিড়ি শিল্প বন্ধ করতে হলে সিগারেটের ন্যায় ২০৪০ সাল পর্যন্ত সময় দিতে হবে বলে আলোচনা সভায় বক্তারা দাবি করেন। সোমবার সকল ১১টায় ঢাকা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিড়ি-শ্রমিক ফেডারেশন ও আরডিসি আয়োজিত আলোচনা সভয় দাবি জানান তারা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও সাম্যবাদী দলের সাধারন সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া । তিনি বলেন বিড়ি শিল্পর সাথে লাখ লাখ শ্রমিক জড়িত তাই এদের সুরক্ষা দিতে হবে এবং ব্রিটিশ টোব্যাক কোম্পানির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। কারন তারা বাংলাদেশের এই শিল্পকে গ্রাস করে দিচ্ছে
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রাক্তন সভাপতি মনজুরুল আহসান খান। তিনি বলেন, সেই পাকিস্থান আমল থেকে আমরা বিড়ি শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমরা শ্রমিকদের এই ন্যায্য আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করছি । তিনি আরো বলেন, ২০ লাখ বিড়ি শ্রমিকের নতুন কর্মসংস্থান তৈরি না করে এই শিল্প বন্ধ করতে দেয়া হবে না।
ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা (এমপি) বলেন প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় বিড়ি ও সিগারেটর বাজার বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার জন্য সূক্ষ্ম চক্রান্ত চলছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এই চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।
বিড়ি-শ্রমিক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান তিনি বলেন, কোন বৈষম্য নয়, বিডি সিগারেটের জন্য একই নিয়ম দেখতে চাই।
প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আরডিসির চেয়ারপারসন প্রফেসর ড. মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে বিড়ি শিল্প ধ্বংস করা যাবে না। বিড়ি সিগারেট দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বন্ধ করতে হলে দুটিই একসঙ্গে বন্ধ করতে হবে।
সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ বিড়ি-শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রস্তাাবিত বাজেট বিড়ি বন্ধ করা ও ২২ বছরে সিগারেট বন্ধ করা অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন এবং প্রস্তবিত বাজেটে বিড়িকে ভারতের ন্যায় করারোপ করা এবং কুটির শিল্প ঘোষণা করার দাবি জানান