আগস্টে বিমানে যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ও নভেম্বরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হচ্ছে বিশ্বের সর্বাধুনিক উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের নাম দিয়েছেন আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,এই ড্রিমলাইনার চালাতে বিমানের নিজস্ব পাইলটরা সিঙ্গাপুর থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। ইতোমধ্যে ১৪ জন পাইলটের নাম চালক হিসেবে চূড়ান্ত করেছে বলে জানিয়েছেন এয়ারলাইন্সটির এক কর্মকর্তা। চারটি ড্রিমলাইনারসহ মোট ১০টি বোয়িং উড়োজাহাজ কিনতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি বোয়িংয়ের সঙ্গে ২০০৮ সালে চুক্তি করে বিমান।
চুক্তি অনুযায়ী এরই মধ্যে তারা বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এর চারটি এবং বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর দুটি সহ মোট ৬টি উড়োজাহাজ বিমানকে সরবরাহ করেছে। চারটি ড্রিমলাইনারের মধ্যে প্রথমটি আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ও দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি নভেম্বরে এবং বাকি দুটি আসবে আগামী বছরের (২০১৯) নভেম্বরে।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, জ্বালানি সাশ্রয়ী এই ড্রিমলাইনারে বসেই যাত্রীরা পাবে ওয়াই-ফাই সুবিধা। এমনকি যাত্রীরা বিশেষ এক ধরনের ফোনসেটের মাধ্যমে আকাশে ভ্রমণের সময়েই ফোনে প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। ফোনে কথা বলা ছাড়াও রিয়েল টাইম লাইভে দেখা যাবে জনপ্রিয় নয়টি টেলিভিশন চ্যানেল। এতে রয়েছে বিশ্বের আধুনিক সব বিনোদনের ব্যবস্থা। ড্রিমলাইনারের ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে দেখা যাবে ব্লকবাস্টার মুভি। শোনা যাবে গান, থাকছে ভিডিও গেমস।
সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়তে সক্ষম দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই উড়োজাহাজ বিশ্বের যে প্রান্তে থাকুক না কেন ঢাকায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সব সময় এর যোগাযোগ থাকবে। এটি বোয়িং ৭৬৭ উড়োজাহাজের চেয়ে ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগে। ফলে লাভও বেশি করা সম্ভব হবে। উড়োজাহাজটিতে মোট আসন রয়েছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাসের আসন ২৪টি।
আগস্টে আসবে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। এই উড়োজাহাজ দিয়ে লন্ডন রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া বর্তমানে দোহাতে আমরা ফ্লাই গ্লোবালের কাছ থেকে ভাড়া করা উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। সেখানেও নিজস্ব ড্রিমলাইনার দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করব। কুয়েত, মদিনাতেও ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা আছে। এ ছাড়া এর মধ্যে গুয়াংজু, কলম্বো এবং মালের পথে উড়বে বিমান। নভেম্বরে দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার দিয়ে ম্যানচেস্টার, রোম, সিডনি, মন্ট্রিয়ল, দিল্লি, হংকং, ও টোকিওতে উড়াল দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে বিমানের।