কাশ্মীর উপত্যকায় লুকিয়ে আছে ২৫০ জঙ্গি
আজকাল : ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে কুলগামে খতম দুই মোস্ট ওয়ান্টেড লস্কর জঙ্গি। অস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করেছে আরও একজন। সে সদ্যই লস্করে যোগ দিয়েছিল। সোমবার একথা জানিয়ে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিআইজি শেষপাল বৈদ নিরাপত্তা বাহিনীকে এজন্য প্রশংসা করে বলেন, নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে আছে লস্করের ডিভিশনাল কমান্ডার শাকুর আহমেদ দার। অপরজন জম্মু-কাশ্মীর আইএস-এর সদস্য, ২২ বছরের দাউদ আহমেদ সোফি ওরফে হায়দর। সোফি পাক নাগরিক এবং দার কুলগামেরই সোপাট টেংপোরার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে দক্ষিণ কাশ্মীরে বহু নাশকতামূলক কাজের অভিযোগ দায়ের আছে। ২২ জন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির মধ্যে অন্যতম খতম হওয়া দুই জঙ্গি দার এবং সোফি। রোববার বিকেলে কুলগামের চেড্ডার কাইমোহ অঞ্চলে রাজ্য পুলিশ, সিআরপিএফ এবং সেনাবাহিনী অমরনাথ যাত্রার আগে জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে টহলদারি চালাচ্ছিল।
গোপন সূত্রে একটি বাড়িতে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযান চালায় বাহিনী। সেসময় জঙ্গিরা গুলি চালালে পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। তাতেই খতম হয় দুই জঙ্গি। এদিকে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলাকালীনই স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় বাহিনীর। পাথর ছুড়তে থাকা জনতাকে রুখতে বাহিনী গুলি চালালে মৃত্যু হয় এক সাধারণ নাগরিকের। জখম হয়েছেন আরও ১২ জন। গ-গোল শুরু হওয়ার পরই রবিবার বিকেল থেকে সোমবার পর্যন্ত কুলগামে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করে দেওয়া হয়। বারামুল্লায় শ্রীনগর ১৫ কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল কুমার ভাট রবিবার বলেন, এই মুহূর্তে দক্ষিণ কাশ্মীরে কমপক্ষে ২৫০-২৭০ জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে।
আরও অনেক সংখ্যক জঙ্গি সীমান্তের বাইরে অপেক্ষা করছে। তুলনামূলকভাবে উত্তর কাশ্মীরে জঙ্গিদের উপস্থিতি অনেকটাই কম। সেখানের পরিস্থিতিও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ