বিশেষায়িত ব্যাংকের ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা
সোহেল রহমান: আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি বিশেষায়িত ব্যাংককে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার অধিক ঋণ আদায় করতে হবে। সরকারের সঙ্গে সম্পাদিতব্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় এ পরিমাণ ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি (বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক) বিশেষায়িত ব্যাংকের মোট ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৮৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে শ্রেণীযোগ্য ঋণ ৫ হাজার ৬১০ কোটি টাকা, খেলাপি ঋণ ২ হাজার ২৫ কোটি টাকা, অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ থেকে ৬ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাত থেকে ৯৪৭ কোটি টাকা আদায় করতে হবে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি)-কে সবচেয়ে বেশি ঋণ আদায় করতে হবে। এই ব্যাংককে মোট ৭ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। এর মধ্যে শ্রেণীযোগ্য ঋণ ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ থেকে ৪ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাত থেকে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ আদায় করতে হবে। এছাড়া বিকেবি-কে তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমিয়ে সাড়ে ৯ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে।
ঋণ আদায়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। এই ব্যাংককে মোট ঋণ আদায় করতে হবে ১ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে শ্রেণীযোগ্য ঋণ ১ হাজার ১০ কোটি টাকা, খেলাপি ঋণ ৪০০ কোটি টাকা, অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ থেকে ২ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাত থেকে ৪৯০ কোটি টাকা ঋণ আদায় করতে হবে। এছাড়া রাকাব-কে তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমিয়ে ১০ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে।
অবশিষ্ট তিনটি ব্যাংকের মধ্যে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের মোট ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে, ৬১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা ও অন্যান্য খাতে ৬০০ কোটি টাকা। এই ব্যাংকের লোকসানী শাখার সংখ্যা কমিয়ে ৭টি-তে নামিয়ে আনতে বলা হয়েছে। কর্মসংস্থান ব্যাংকের মোট ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে, ২৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ১০ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাতে ২৭৭ কোটি টাকা ঋণ আদায় করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার কমিয়ে ২০ শতাংশে সীমিত রাখা এবং অন্যান্য খাতে ৭০ কোটি টাকা ঋণ আদায় করতে বলা হয়েছে।