উম্মুল ওয়ারা সুইটি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বনেতারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী বাংলাদেশের ভূমিকা ও সফলতার প্রশংসা করেছেন। দেশের উন্নয়নে আমি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি। বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরা ও বাংলাদেশকে শান্তির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বনেতারা এই কাজের মূল্যায়নটাই করছেন।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা আরও বলেন, সম্প্রতি জাপানে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় তারা সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রাপ্য সম্মানের কৃতিত্ব জনগণকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সম্মান পাচ্ছি, সেটা আমার নয়Ñ বাংলাদেশের জনগণের সম্মান। এ জন্য জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কারণ, ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই আমি আজকে এই কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক বিষয়ের বাইরেও জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা হয়। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স ও কঠোর অবস্থানের কথা বিশ্বনেতারা জানেন।
সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো দক্ষিণ এশিয়ায়ও বিস্তৃতি লাভ করেছে। এটি আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য হুমকি। এই বাস্তবতায় নিরাপত্তা সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়াকে একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ অঞ্চলের দেশগুলো একত্রে কাজ করতে পারে।
ক্ষুদ্রঋণের সমালোচনা করে এই প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাইক্রো ক্রেডিট নিয়ে যারা কাজ করে, তারা দীর্ঘমেয়াদি এবং টেকসই উন্নয়নে কোনো কাজ করতে পারে না। ঋণ নেয় আর প্রতি সপ্তাহে তা শোধ করে। আমাদের সরকারের নেওয়া প্রকল্প একটি বাড়ি একটি খামার দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ের ব্যবস্থা করছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি
Amader Orthoneeti is a news portal. it's a voice of people.