নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানায় মৎস্য সম্পদ জরিপের কাজ আগামী নভে¤॥^র মাসে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক।
বৃহস্পতিবার সংসদে নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নে তিনি জানান, এই জরিপ কাজের জন্য ‘আর ভি মিন সন্ধানী’ নামের একটি আধুনিক প্রযুক্তির গবেষণা ও জরিপ জাহাজ ৯ জুন মালয়েশিয়া থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছেছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিস্পত্তি হওয়ায় বর্তমানে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার টেরিটোরিয়াল সমুদ্র ও ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে বাংলাদেশের অধিকারে।
এর মধ্যে তটরেখা থেকে ৪০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে ৩২ হাজার ৪৪০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৬৮ হাজার যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক ছোট ট্রলার এবং জেলে নৌকা মাছ ধরে। আর ৪০ মিটারের পর থেকে দুটি স্তরে মাছ ধরতে পারে সরকার অনুমোদিত ২৪১টি বাণিজ্যিক ট্রলার।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবনযাত্রা মাছ চাষ ও বাণিজ্যিক পরিবহণের মতো সমুদ্র অর্থনীতির কার্যক্রমের উপর নির্ভরশীল। অধিবেশনের শুরুতে সভাপতিত্বকারী ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করেন।
নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “নভে¤॥^রে সাগরের আবহাওয়া অনুকূল থাকবে। সে সময়ে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় ভাসমান ও তলদেশে কী পরিমাণ মাছ রয়েছে, সে বিষয়ে জরিপ চালানো হবে। এ কাজ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।” তিনি জানান, ১৯৭৩ সালে রাশিয়ার ট্রলারের মাধ্যমে সমুদ্রে ভাসমান ও তলদেশে মজুদ মাছের পরিমাণ জানতে জরিপ চালানো হয়েছিল। এরপর আর কোনো জরিপ হয়নি। সফুরা বেগমের প্রশ্নে ছায়েদুল হক বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৮৩ হাজার ৫২৪ টন মাছ ও মাছজাতীয় পণ্য রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে হিমায়িত চিংড়ি ৪৪ হাজার ২৭৮ টন।
Amader Orthoneeti is a news portal. it's a voice of people.