তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল, পাবনার ঈশ্বরদী ও যশোর সদর উপজেলায় বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদগুলো তুলে ধরা হলো
    সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জীবন মিয়া (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বারিউড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত হয়েছেন সরাইল থানার কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম, আবদুল আজিজ ও রবিউল ইসলাম। তাদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তথ্য মতে, জীবন মিয়া আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সরাইল থানায় নয়টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। জীবন মিয়া সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মুন্সিহাটি গ্রামের মহরম মিয়ার ছেলে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
    পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে পদ্মার চরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রুবেল হোসেন (৩০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলেছে, তিনি পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুজাউল ইসলাম হত্যামামলার প্রধান আসামি। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুবেল হোসেনের বাড়ি পাকশীর দিয়ারবাঘইল এলাকায়।
    ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাশ বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ রুবেলকে পাকশী এলাকায় পদ্মার চর থেকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে নিয়ে তার সহযোগী ইব্রাহিম হোসেনকে ধরতে পুলিশ আবার অভিযান চালায়। এ সময় রুবেল ও ইব্রাহিমের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় রুবেল গুলিবিদ্ধ হন।
    যশোর প্রতিনিধি : যশোর সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামে কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। নিহত ব্যক্তি ডাকাত ছিলেন বলে দাবি পুলিশের। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পুলিশ জানাতে পারেনি। নিহত ব্যক্তির লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহার ভাষ্য, ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় ডাকাতদের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়। এতে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *