নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেলেন দুই জেল সুপার

    এস এম নূর মোহাম্মদ : অবশেষে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেলেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা ও অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুন। ক্ষমা প্রার্থনার পর গতকাল বুধবার তাদেরকে সতর্ক করে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ।
    গতকাল আদালত বলেন, অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডের ল’ইয়ার সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে জামিনপ্রাপ্ত আসামিকে কারামুক্তি না দেওয়াটা বেআইনি। একই সঙ্গে ইস্যুকৃত এধরনের সার্টিফিকেট অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। এতে বিচার ব্যবস্থায় এক ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপেরও শামিল। আদালত ল’ইয়ার সার্টিফিকেট ইস্যুকারী সুফিয়া খাতুনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের সার্টিফিকেট ইস্যু করা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এর আগে মানি লন্ডারিং আইনে গত ২ জানুয়ারি রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলায় গত ৮ মে ৫ আসামিকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। ১৬ মে জামিননামা কারাগারে যাওয়ার পর দুই আসামিকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অপর তিন আসামি গিয়াস উদ্দিন, আমিনুর রহমান ও ওসমান গণিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। জামিননামা যাওয়ার পরও কেন তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি এই বিষয়ে ওই তিন আসামির আইনজীবী গত ৫ জুন হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট দুই জেল সুপারসহ তিনজনকে তলব করে। তলব আদেশে তারা তিনজনই হাইকোর্টে হাজির হন এবং পরে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
    ব্যাখ্যায় জেল সুপার বলেন, অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডের দেয়া ল’ইয়ার সার্টিফিকেটের কারণে আমরা আসামিদের মুক্তি দেইনি। আসামিদের মুক্তি না দেওয়াটা ছিল অনিচ্ছাকৃত ভুল। বিষয়টি আমাদের অজ্ঞাতসারেই হয়েছে। এই ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। অপরদিকে সুফিয়া খাতুন জবাবে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ২৪ মে আপিল দায়ের করা হয়। ৭ জুন আপিল বিভাগ ওই জামিন আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *