স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান নাইটিংগেলের শিক্ষার্থীরা

    রিকু আমির : স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া আশুলিয়ার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা কলেজ চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। এই কর্মসূচি পালনকালে তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানিয়েছেন।
    গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই কলেজের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা মানববন্ধন করেন। একই দাবিতে গত মঙ্গলবার তারা এখানেই এ কর্মসূচি পালন করেন। নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান বলেন, আমরা আজ (বৃহস্পতিবার) স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছি। তিনি আমাদের পক্ষ থেকে চারজন প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করবেন বলে তার কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছি। আমাদের আশা স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের কথা শুনবেন, সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেবেন।
    মেডিকেল কলেজ পরিচালনার নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে গত ১২ জুন রংপুরের নর্দান মেডিকেল কলেজ, গাজীপুরের সিটি মেডিকেল কলেজ, আশুলিয়ার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ অন্যান্য বেসরকারি কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
    মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী সোনিয়া খানম বলেন, গত ১২ জুন হঠাৎ করেই আমাদের কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এভাবে কলেজ বন্ধ করায় আমাদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কলেজে অবস্থান করছিলাম। কিন্তু গত ১৪ জুন ভোর রাতে পুলিশ দেয়াল টপকিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে আমাদের ওপর গুলি চালায়, টিয়ার শেলসহ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পুলিশের গুলিতে আমাদের চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া, পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক।
    আমরা এই পুলিশি হামলার বিচার চাই এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তাদের কাছে আমাদের আবেদন, আমরা যেন শিক্ষা জীবন শেষ করতে পারি। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *