তামিমের পাশাপাশি ম্যাচ রেফারিরও শাস্তি চান লিপু

    tamim-iqbal20160617133201-550x286ডেস্ক রিপোর্ট : আবাহনী-প্রাইম দোলেশ্বর ম্যাচের ৬ দিন পেরিয়ে যাবার পরও তামিমের বিরুদ্ধে কোন রকম ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন হয়নি! জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ লিপু এটা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেট বিশ্লেষকের কথা আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিরুদ্ধে পরিষ্কার জিরো টলারেন্সের কথা বলা আছে। এরপরও কোন অ্যাকশন নেওয়া হল না কেন?
    সেটা কে করেছে, তার তারকা খ্যাতি কতটা, তিনি কোন দলের এসব বিচার করার কোনই সুযোগ বা অবকাশ নেই। মাঠে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী তাকে শাস্তি পেতেই হবে।’
    তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তামিমের সেদিনের আচরণ আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের পরিপন্থী, যা শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। আর ম্যাচ রেফারির উচিৎ ছিল, সেদিনই খেলা শেষে আম্পায়ার ও তামিমকে ডেকে শুনানির পর একটা ডিসিপ্লিনারি শাস্তি দিয়ে ফেলা। সেটা ম্যাচ সাসপেন্ড না , অর্থ দন্ড ? তাতো আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টোই পরিষ্কার আছে। তামিম কি আচরণ করেছে, আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলে এবং তামিমের ভাষ্য নিয়ে সে অনুযায়ী অ্যাকশন নিলেই হয়ে যেত।
    তিনি আরও বলেন,এখানে রেফারির মনগড়া কিছু করার সুযোগ নেই। ঢাকা লিগও আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ীই হয়। কোন অপরাধের কি শাস্তি , কোন আচরন করলে কি ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন হবে সব আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টে পরিষ্কার করা আছে। সংশ্লিষ্ট ম্যাচ রেফারির কাজ হলো আচরনটা আইসিসি কোড অব কন্ডক্টের কোন ধারার কত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হয়েছে , তা নিরুপন করে শাস্তি দেয়া। তামিম ইকবাল সাময়ীকভাবে এক বা দুই ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড হতেন, না অর্থ জরিমানা গুনতে হতো তা আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের যথাযথ অনুসরন করলেই হয়ে যেত। কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম ম্যাচ রেফারি কিছুই করেননি। দিন শেষে একটা শুনানিও হয়নি।দ
    গাজী আশরাফ হোসেন লিপু তামিম ইকবালের পাশাপাশি ঐ ম্যাচের ম্যাচ রেফারি মন্টু দত্তের বিরুদ্বেও শাস্তি নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তার অনুভব, ম্যাচ রেফারিও সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ। তার বিরুদ্ধেও ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন হওয়া উচিৎ। তিনি খেলা শেষে আম্পায়ার ও তামিম দুদপক্ষকে ডেকে শুনানির পর আইসিসির কোড অব কন্ডক্ট অনুযায়ী একটা ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন দিয়ে দিলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু আমি বিস্মিত তিনি তার কিছুই করেননি। ‘
    এদিকে ঢাক প্রিমিয়ার লিগ আয়োজক ও ব্যবস্থাপক সংস্থা সিসিডিএম সমন্বয়কারি আমিন খান জানান, আমরা কি করবো ? মাঠে কোন ঘটনা ঘটলে আগে আম্পায়াররা ম্যাচ রেফারিকে জানাবেন , সেটা লিখিতও হতে পারে, মৌখিকও হতে পারে। তার ভিত্তিতে ম্যাচ রেফারি শুনানি করেই হোক কিংবা আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী শাস্তি দিয়ে থাকেন। এখানে সিসিডিএমের করণীয় কিছু নেই। আমরা ম্যাচ রেফারির কাছ তেমন কিছু পাইনি। তাই বিষয়টি বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে। ‘
    আমিন খানের ধারণা আগামী ১৯ জুন বিসিবি পরিচালক পর্ষদের সভায় বিষয়টি উঠবে। আবাহনী-প্রাইম দোলেশ্বর ম্যাচের ভাগ্যও ঐ সভাতেই নির্ধারিত হবে। ‘
    জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর শেষ কথা, দেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তি হওয়া উচিৎ। আর তা না হলে উদীয়মান বা তামিমের সমপর্যায়ের খেলোয়াড়রা লিগে আবারো অখেলোয়াড়ীচিত আচরণ আরও করবে। আর এর একটা প্রভাব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও পড়বে। আর যদি শাস্তি দেওয়া হয় অন্যরা জানবে, দেখবে ও বুঝবে মাঠে অখেলোয়াড়ীচিত আচরনের শাস্তি হয়। তাই মাঠে অমন আচরণ করা যাবে না। জাগোনিউজ

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *