ধর্ম রক্ষা নয়, তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় : নূর

    নুর আলম সিদ্দিকী, নীলফামারী : সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি ইসলামের নামে মানুষ খুন করছে। তাদের উদ্দেশ্য ধর্ম রক্ষা নয়, দেশ অস্থিতিশীল করা। তিনি গতকাল নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের কাজিরহাট নামক স্থানে পাকাসড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘তারা ইসলামের নামে চিকিৎসক, লেখক, শিক্ষক, মোয়াজ্জেম, পুরোহিত, সেবক, ব্লগারসহ মুক্তমনা মানুষদের খুন করছে। এমনকি একজন পুলিশ সুপারের স্ত্রীকেও খুন করেছে। কি দোষ ছিল পুলিশ সুপারের স্ত্রীর ? তাদের উদ্দেশ্য ইসলাম রক্ষা নয়, দেশ অস্থিতিশীল করা।’
    মন্ত্রী এ সময় মাদারীপুরের উদাহরণ দিয়ে বলেন,তাদের বিরুদ্ধে জনগন সোচ্ছার হতে শুরু করেছে। সেখানে এক শিক্ষককে হত্যা চেষ্টার সময় স্থানীয় জনগণ হাতেনাতে এক ঘাতককে ধরে পুলিশে সোর্পদ্দ করেছে। ওই অপশক্তি রোধে তিনি জনগণকে আরও সোচ্ছার হওয়ার আহ্বান জানান।
    সংগলশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নব নির্বাচিত ইউনিয়র পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুদ্দিন বসুনিয়া,জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রশীদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ এবং সদর উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম।
    অনুষ্ঠানে ফলক উন্মোচন করে সংস্কৃতিমন্ত্রী এলজিইডি’র তত্ববধানে ৯৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজিরহাট থেকে দালালের বাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
    এর আগে মন্ত্রী চড়াইখোলা ইউনিয়নের মেলার পিলার নামক স্থানে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সোনারায় ইউপি থেকে চাকলা কাজিরহাট পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ আরো একটি পাকা সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
    নীলফামারী সদর উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, রংপুর বিভাগের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়ক দ’ুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলায় চলতি বছর একশ’ ২৫ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হবে। আগামী তিন বছরে ৩শ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রতিবছর ব্যয় হবে প্রায় একশ’ কোটি টাকা। সম্পাদনা : হাসান আরিফ

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *