আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকায় কুমারিত্বের প্রমাণ সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিশোরী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্তকে বে আইনি ঘোষণার পাশাপাশি এটি বাতিল করা উচিৎ বলে রায় দিয়েছে দেশটির একটি আইনি কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি বলছে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কাওয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের উথুকেলা পৌরসভা এইডস ও শিশুদের গর্ভধারণ ঠেকাতে এই বৃত্তি ঘোষণা করেছিল। বিডিনিউজ
কিন্তু দেশটির লিঙ্গ সমতা বিষয়ক কমিশন ঘোষিত রায়ে উল্লেখ করে, ‘নারী শিক্ষার্থীর কুমারিত্বের উপর দেওয়া এই বৃত্তি মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক।’
চলতি বছরের শুরুর দিকে এই বৃত্তির প্রকল্প ঘোষণা করা হলে এটি নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অধিকার গোষ্ঠীগুলো বিষয়টি কমিশনের কাছে ন্যস্ত করার পর রায়ে কমিশন বলছে, ‘এটি মর্যাদা, সমতা ও বৈষম্যের ক্ষেত্রে সাংবিধানের যে ধারা রয়েছে সেই তত্ত্বের পরিপন্থি।’ কমিশন আরো জানায় ‘পড়াশোনার ক্ষেত্রে কুমারিত্ব কোনো গুণ নয়।’ যে পৌরসভা এই কুমারিত্ব শিক্ষাবৃত্তি ঘোষণা করেছিল এটির অবস্থান দক্ষিণ আফ্রিকার সামাজিকভাবে রক্ষণশীল অঞ্চলে। এই রায়ের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত সেই পৌরসভার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এই শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ বলে যে রায় দেওয়া হয়েছে তার জবাব দেওয়ার জন্য কমিশন ৬০ দিন সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। এরআগে এই শিক্ষাবৃত্তি সম্পর্কে ওই পৌরসভার পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বলা হয়, তারা ১৬ বছর বয়সী কিশোরী শিক্ষাবৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে তাদেরকে কুমারিত্ব বজায় রাখতে হবে।
অল্প বয়স্ক তরুণীদের মধ্যে ‘এইচআইভি, এইডস এবং অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ’ হ্রাসের উদ্দেশ্যে তারা এই প্রকল্প চালু করেছে বলে জানায়।
তখন আরো বলা হয়, যারা এ বৃত্তি গ্রহণ করবে তাদেরকে নিয়মিত কুমারিত্ব পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই প্রকল্প ঘোষণার পর মানবাধিকার কর্মীরা তীব্র নিন্দা জানান।
Amader Orthoneeti is a news portal. it's a voice of people.