মোবাইল গেমসহ ৭ প্রকল্প পেল ৩,৩২৭ কোটি টাকা
একনেক সভা
কালাম আজাদ : মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়নসহ ৭ প্রকল্পে ৩ হাজার ৩২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটি (একনেক)। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর চারটি নতুন ও তিনটি সংশোধিত। প্রকল্পগুলোতে অর্থের সংস্থানের মধ্যে সরকারের কোষাগার (জিওবি) থেকে আসবে ২ হাজার ৯৭১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন হিসেবে থাকছে ৩৫৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। প্রকল্পগুলোর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় ২৮১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন ছাড়াও রয়েছে ১ হাজার ১২৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রথম সংশোধিত হিসেবে বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার (নতুন ধলেশ্বরী-পুংলী-বংশাই-তুরাগ-বুড়িগঙ্গা রিভার সিস্টেম), ১১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন (প্রথম সংশোধিত), ১ হাজার ২৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের অবকাঠামো উন্নয়নসহ নর্দমা ও ফুটপাথ নির্মাণ, ৫৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে হরিশপুর বাইপাস মোড় থেকে বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড় পর্যন্ত নাটোর শহরের প্রধান সড়কের মিডিয়ানসহ পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ, ৫০৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফর ইমপ্লিমেন্টেশন অব গজারিয়া ৩৫০ মেগাওয়াট কোল ফায়ার্ড থারমাল পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং ২১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ড রক্ষা (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, ২০টি হাইটেক পার্ক (নির্মিতব্য) ও ৮টি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে এ খাতে চীন সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত হয়ে উঠায় আমরাও এর দিকে জোর নজর দিয়েছি। আমরা এ খাতে মনোপলি হতে না পারলেও মনোপলিস্টিক সিচুয়েশনে যেতে পারব বলেই মনে করছি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নদী দূষণ রোধ ও নদী রক্ষায় দুই মন্ত্রণালয়যোগে মাস্টারপ্ল্যান করা হবে। এর আওতায় এমন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে যাতে কারখানা ও আবাসিকের সব বর্জ্য পরিশোধিত হয়ে পরিষ্কার পানি নদীতে গিয়ে পড়ে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম