সংবাদপত্র রক্ষায় সাংবাদিকদের প্রতিরোধ গড়তে হবে : খালেদা জিয়া
কিরণ সেখ : গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করার যে নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
গতকাল বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে এই বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রকৃত গণতন্ত্রের সারবত্তা, গণতন্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। পরিতাপের বিষয় বর্তমান আওয়ামী সরকার তাদের পুরনো পথেই হেঁটে যাচ্ছে এবং সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর অব্যাহত জুলুম চালাচ্ছে। সংবাদপত্রের উপর খবরদারির খড়গ ঝুলিয়ে রেখে তা নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খালেদা জিয়া বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিন। এদিনে তৎকালীন একদলীয় বাকশাল সরকার তাদের অনুগত ৪টি সংবাদপত্র রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিয়ে গোটা জাতিকে নির্বাক করে দিয়েছিল। যার ফলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদ কর্মী বেকার হয়ে পড়েছিল। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তাদের রুজি-রোজগার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ।
তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল তাগিদ ছিল বাংলাদেশের ভৌগলিক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র। গণতন্ত্রে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। মানুষের স্বাধীনতার মূল শর্ত হচ্ছেÑ বাক, চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মধ্যে যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কিন্তু স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীনরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল-স্পিরিটের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে আটকিয়ে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের কাক্সিক্ষত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন। বাকশাল সরকারের সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক কালাকানুন বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন।
গণমাধ্যমের কর্মীদের শঙ্কা ও ভয়ের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ’৭৫র এই দিনের বিভীষিকার আবার যে পুনরাবির্ভাব ঘটছে, তা যেন ব্যাপকতা লাভ করতে না পারে সেজন্য অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে সম্মিলিত শক্তি দিয়ে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম